সেন্ট্রাল অক্সিজেন সাপ্লাইয়ের আওতায় আসছে মোহাম্মদ আলী হাসপাতাল
বগুড়া ২৫০ শয্যার মোহাম্মদ আলী হাসপাতালকে কেন্দ্রীয় অক্সিজেন সরবরাহের (সেন্ট্রাল অক্সিজেন সাপ্লাই) আওতায় আনা হচ্ছে। করোনায় মুমূর্ষু রোগীদের হাইফ্লো ন্যাজাল ক্যানোলার মাধ্যমে অক্সিজেন প্রবাহ বাড়িয়ে দেয়ার জন্য তিন কোটি ৯২ লাখ টাকা ব্যয়ে এই প্ল্যান্ট স্থাপন করা হচ্ছে। ইতোমধ্যে প্ল্যান্টের চুল্লি ও মেশিনারিজ বসানোর কাজ প্রায় শেষ পর্যায়ে।
চিকিৎসকরা বলছেন, কেন্দ্রীয় অক্সিজেন সরবরাহ সচল হলে হাসপাতালে করোনা রোগীরা হাইফ্লো ন্যাজাল ক্যানোলার মাধ্যমে অক্সিজেন নিতে পারবেন। কারণ রোগীর শরীরে অক্সিজেনের মাত্রা কমে গেলে হাইফ্লো ন্যাজাল ক্যানোলা ছাড়া কাজ হয় না।
একইভাবে মোহাম্মদ আলী হাসপাতালে আটটি নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্র (আইসিইউ) বেডের অবকাঠামোর কাজ সম্পন্ন হয়েছে।
হাসপাতালের তত্ত্বাধায়ক এ টি এম নুরুজ্জামান বলেন, সেন্ট্রাল অক্সিজেন সাপ্লাই চালু হলে মোট ২২৩ জন কোবিড ও ননকোভিড রোগীকে অক্সিজেন সাপ্লাই দেয়া সম্ভব হবে। এজন্য হাসপাতালের বেডের সঙ্গে ২২৩টি অক্সিজেন পয়েন্ট বসানোর কাজ শেষ হয়েছে। আইসিইউতে হাইফ্লো ন্যাজাল ক্যানোলার মাধ্যমে করোনার সংকটাপন্ন রোগীরা অক্সিজেন সেবা পাবেন। এখন সীমিত আকারে এই সুবিধা শুধু বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে (শজিমেক) চালু রয়েছে।
গতবছরের ২২ ডিসেম্বর তিন কোটি ৯২ লাখ টাকা ব্যয়ে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান স্পেকট্রা অক্সিজেন লিমিটেড বগুড়া মোহাম্মদ আলী হাসপাতালে কেন্দ্রীয় সেন্ট্রাল অক্সিজেন সিস্টেম নির্মাণের কার্যাদেশ পায়। চলতি বছর ফেব্রুয়ারি মাসের মধ্যে কাজ শেষ করে তা সংশ্লিষ্টদের বুঝিয়ে দেয়ার কথা থাকলেও কাজ শেষ করা সম্ভব হয়নি।
স্পেকট্রা অক্সিজেন লিমিটেড বগুড়ার কর্মকর্তা শফিকুল ইসলাম বলেন, কাজ দ্রুতগতিতে চলছে। শিগগিরই এটি হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের কাছে বুঝে দেয়া সম্ভব হবে।
জানতে চাইলে মোহাম্মদ আলী হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক এ টি এম নুরুজ্জামান বলেন, সেন্ট্রাল অক্সিজেন সিস্টেম চালু হলে হাসপাতালের স্বাস্থ্যকর্মীদের অক্সিজেন সিলিন্ডার নিয়ে রোগীর বেডে বেডে টানাহেঁচড়া করতে হবে না। এই কাজ শেষ হলে করোনা ঝুঁকিপূর্ণ এলাকা বগুড়ায় কিছুটা হলেও আইসিইউ বেডের সুবিধা মিলবে।
তিনি আরও জানান, বর্তমানে বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ (শজিমেক) হাসপাতালে আটটি আইসিইউ বেড ও সাতটি এইচডিইউ বেড চালু আছে। মোহাম্মদ আলী হাসপাতলে আইসিইউ বেড চালু হলে শজিমেক) হাসপাতালের ওপর থেকে চাপ কিছুটা কমে যাবে।
এসআর/এএসএম