ঘাটে অতিরিক্ত ভাড়া আদায় নিয়ে যাত্রীদের সঙ্গে মারামারি
মাদারীপুরের বাংলাবাজার ঘাটে অতিরিক্ত ভাড়া আদায়কে কেন্দ্র করে যাত্রীদের সঙ্গে ইজারাদারের লোকজনের মারধরের ঘটনা ঘটেছে।
রোববার সকাল ৯টায় ৩ ও ২ নম্বর ফেরিঘাটের মাঝামাঝি যাত্রীদের সঙ্গে হাতাহাতির ঘটনা ঘটে।
ঘাট সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, রোববার থেকে গার্মেন্টস, শপিংমলসহ দোকানপাট খোলায় বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে বাংলাবাজার-শিমুলিয়া রুট হয়ে কর্মস্থল ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে ফিরছে মানুষ। যাত্রীর চাপ বাড়ায় ফেরির সংখ্যা বাড়ানো হয়েছে। গণপরিবহন বন্ধের সঙ্গে ফেরি চলাচল সীমিত ও লঞ্চ চলাচল বন্ধ থাকায় গন্তব্যে পৌঁছাতে গিয়ে করোনা সংক্রমণের ঝুঁকির সঙ্গে প্রত্যেক যাত্রীকেই গুনতে হচ্ছে কয়েকগুণ বেশি ভাড়া।
যাত্রীরা এ ঘাট ও ঘাট পায়ে হেঁটে গিয়ে প্রখর গরমে অসহনীয় দুর্ভোগ পোহাচ্ছেন। যাত্রী চাপ সামাল দিতে গিয়ে ঘাট এলাকায় পুলিশ ও বিআইডব্লিউটিসিকে কাজ করতে দেখা গেছে। কোথাও দেখা যায়নি স্বাস্থ্যবিধি মানার লক্ষণ। অতিরিক্ত ভাড়া নিয়ে ভাড়া আদায়কারী ও যাত্রীদের মধ্যে মারামারির ঘটনাও ঘটেছে। পরে তা সমঝোতা হয়।
নড়াইল থেকে আসা যাত্রী আহসান মিয়া জানান, ফেরি ঘাটের কাছাকাছি এক শ্রেণির লোক বেরিকেড দিয়ে যাত্রীদের কাছ থেকে অতিরিক্ত টাকা আদায় করছে। অতিরিক্ত টাকা না দিতে চাইলে ঘাটে ইজারাদারের লোকজন যাত্রীদেরকে মারধর করে। পরে পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
এ ব্যাপারে ইজারাদারের পক্ষ থেকে কোন বক্তব্য দিতে কেউ রাজি হয়নি।
অন্যদিকে, দক্ষিণাঞ্চলের বিভিন্ন জেলা থেকে মাইক্রোবাস, মোটরসাইকেল, ইজিবাইকসহ বিভিন্ন যানবাহনে বাড়তি ভাড়া দিয়ে ঘাটে আসছেন যাত্রীরা। ইজিবাইক, সিএনজি, মোটরসাইকেলে বরিশাল থেকে ৫০০ থেকে ৬০০ টাকা, গোপালগঞ্জ থেকে ৫০০ টাকা, খুলনা থেকে ১৭০০ টাকা, মাদারীপুর থেকে ২০০ টাকা, বাগেরহাট থেকে ৬৫০ টাকাসহ প্রতিটি যানবাহনেই কয়েকগুণ ভাড়া আদায় করা হচ্ছে।
বিআইডব্লিউটিসির বাংলাবাজার ঘাট ম্যানেজার মো. সালাউদ্দিন মিয়া জানান, রোববার থেকে শপিংমলসহ দোকানপাট খুলে দেয়ার ঘোষণার পর থেকে বাংলাবাজার ঘাটে যাত্রীদের চাপ অনেক বেড়েছে। যাত্রী চাপের কারণে পরিবহন পারাপারে হিমশিম খেতে হচ্ছে।
এ কে এম নাসিরুল হক/এসজে/এমকেএইচ