লকডাউনে সোনামসজিদে লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে দ্বিগুণ রাজস্ব আদায়
দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম স্থলবন্দর চাঁপাইনবাবগঞ্জের সোনামসজিদ ও কাস্টমস স্টেশনে রাজস্ব আহরণ দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। একইসঙ্গে এ বন্দর দিয়ে বাড়ছে আমদানি-রফতানি। লোকবল বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে রাজস্ব আহরণ ক্রমাগত বৃদ্ধি পাচ্ছে।
চলতি বছরের এপ্রিল মাসে রাজস্ব আয়ের লক্ষ্যমাত্রা ছিল ৩৯ কোটি ৫১ লাখ ৯৭ হাজার টাকা। করোনা সংক্রমণ রোধে চলমান লকডাউনেও এ মাসে রাজস্ব আদায় হয়েছে ৯০ কোটি ৯৭ লাখ ৯ হাজার টাকা।
কাস্টমস কর্মকর্তারা বলছেন, করোনা পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে প্রতিমাসেই রাজস্ব লক্ষ্যমাত্রা অর্জিত হবে। তবে কর্মকর্তাদের তদারকি ও কঠোর নজরদারি বৃদ্ধির ফলে রাজস্ব আহরণ বাড়ছে।
সোনামসজিদ বন্দর দিয়ে ভারত থেকে পাথর, ভুট্টা, ভুসি, চিড়া, কিছু মেশিনারিজ, পোলট্রি ফিড, ফ্লাইঅ্যাশ, পেঁয়াজ এবং মৌসুমি ফল কমলা, আঙ্গুরসহ বিভিন্ন ফল আমদানি হয়ে থাকে। বাংলাদেশ থেকে নেট মশারি, পাটের ব্যাগ, পাটের দড়ি, রাইস ব্রান অয়েল ও কিছু গার্মেন্টস পণ্য রফতানি হয়। তবে এ বন্দর দিয়ে আমদানি পণ্যের মধ্যে সবচেয়ে পাথর আমদানি থেকেই বেশি রাজস্ব আদায় হচ্ছে। করোনা পরিস্থিতির মধ্যেও বর্তমানে দৈনিক প্রায় দেড় শতাধিক পাথরবোঝাই ট্রাক এ বন্দরে আসছে। এ বছর সোনামসজিদ দিয়ে মৌসুমি ফলের আমদানি বেড়েছে।
এছাড়া স্থানীয় কিছু সমস্যার কারণে দীর্ঘদিন ধরে এ বন্দর দিয়ে কাঙ্ক্ষিত মাত্রায় আমদানি-রফতানি হয়নি। সম্প্রতি বেশ কিছু সমস্যার সমাধান হওয়ায় আমদানি-রফতানির পথ সুগম হয়েছে। ফলে রাজস্ব আহরণ বাড়ছে।
সোনামসজিদ স্থলবন্দর সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি মো. আবদুল আওয়াল বলেন, ‘বন্দরের দীর্ঘদিনের পুঞ্জিভূত সমস্যা দূর হয়েছে। চাঁদাবাজি না থাকার কারণে স্বাচ্ছন্দ্যে ব্যবসা করছেন ব্যবসায়ীরা। এ ছাড়া কাস্টমসে জনবল বাড়ার কারণে দ্রুত সময়ের মধ্যে পণ্য খালাস হচ্ছে। ফলে এ বন্দরের প্রতি দিন আমদানিকারকদের আগ্রহ বাড়ার পাশাপাশি আমদানি-রফতানি যেমন বেড়েছে, তেমনই বেড়েছে রাজস্ব।’
এ বিষয়ে সোনামসজিদ কাস্টমস স্টেশনের সহকারী কমিশনার মমিনুল ইসলাম বলেন, ‘রাজস্ব আহরণের জন্য অনুকূল পরিবেশ সৃষ্টি হওয়ায় আমদানি-রফতানি দিন দিন বেড়েছে। বর্তমানে এ বন্দরে কাজকর্মে গতিশীলতা বেড়েছে। আগের চেয়ে জনবল দ্বিগুণ হওয়ায় পণ্য খালাসে জটিলতা না থাকায় আমদানিকারকরা এ বন্দর ব্যবহারে উৎসাহ পাচ্ছেন। একইসঙ্গে রাজস্ব ফাঁকি ও কর্ম পরিবেশ ঠিক রাখতে কঠোর পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে। এতে রাজস্ব অনেকাংশে বৃদ্ধি পেয়েছে।’
এসজে/এমএস