দিনাজপুরে ৪১ হাজার মানুষের টিকার দ্বিতীয় ডোজ অনিশ্চিত
দিনাজপুরে করোনার টিকার প্রথম ডোজ গ্রহণকারী ১ লাখ ১১ হাজার ৬৯৭ জনের মধ্যে ৪১ হাজার জনের দ্বিতীয় ডোজ পাওয়া নিয়ে অনিশ্চয়তা দেখা দিয়েছে।
ভারতের অক্সফোর্ডের অ্যাস্ট্রাজেনেকার ভ্যাকসিন না পাওয়া গেলে ৪১ হাজার জনকে দ্বিতীয় ডোজ দেয়া সম্ভব হবে না বলে জানিয়েছে স্বাস্থ্য বিভাগ।
দিনাজপুর জেলা সিভিল সার্জন কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, ৭ ফেব্রুয়ারি থেকে দিনাজপুরে করোনার ভ্যাকসিন দেয়া শুরু হয়। জেলার ১৪টি কেন্দ্রে ২৫ এপ্রিল পর্যন্ত প্রথম ডোজ ভ্যাকসিন গ্রহণ করেন ১ লাখ ১১ হাজার ৬৯৭ জন। ২৬ এপ্রিল থেকে প্রথম ডোজ বন্ধ করে দেয়া হয়। বর্তমানে দ্বিতীয় ডোজ ভ্যাকসিন প্রদান কার্যক্রম চলছে।
দিনাজপুর জেলায় প্রথম পর্যায়ে ১ লাখ ৭৫ হাজার এবং দ্বিতীয় পর্যায আরও ৭ হাজারসহ মোট ১ লাখ ৮২ হাজার ভ্যাকসিন পাওয়া যায়। ২৫ এপ্রিল পর্যন্ত প্রথম ডোজ গ্রহণকারী ১ লাখ ১১ হাজার ৬৯৭ জন। সে হিসেব অনুযায়ী দ্বিতীয় ডোজ ঘাটতি রয়েছে ৪১ হাজারেরও বেশি।
দিনাজপুর জেলার সিভিল সার্জন ডা. আব্দুল কুদ্দুছ বলেন, ‘নিয়ম অনুযায়ী যারা প্রথম ডোজ অক্সফোর্ডের অ্যাস্ট্রাজেনেকার ভ্যাকসিন গ্রহণ করেছেন তাদেরকে দ্বিতীয় ডোজও অক্সফোর্ডের অ্যাস্ট্রাজেনেকার গ্রহণ করতে হবে। ৪ মে পর্যন্ত ৬০ হাজার ২২২ জন দ্বিতীয় ডোজ গ্রহণ করেছেন। বর্তমানে যে পরিমাণ ভ্যাকসিন মজুত রয়েছে তা দিয়ে ঈদের আগ পর্যন্ত দ্বিতীয় ডোজ কার্যক্রম চালানো যাবে।’
তিনি আরও বলেন, ‘ভ্যাকসিনের জন্য ঢাকায় যোগাযোগ করা হচ্ছে। ভ্যাকসিন প্রাপ্তি সাপেক্ষে তাদেরকে ভ্যাকসিন প্রদান করা হবে। আর যদি অক্সফোর্ডের অ্যাস্ট্রাজেনেকার ভ্যাকসিন না পাওয়া যায় তাহলে এই সময়সীমা অতিক্রম করার পর তাদেরকে আবার নতুন করে কোভিড-১৯ এর নতুন ধরনের ভ্যাকসিন দিতে হবে। তবে সেটা দ্বিতীয় ডোজ হিসেবে নয়, প্রথম ডোজ হিসেবে নিতে হবে।’
তবে স্বাস্থ্য বিভাগের কর্মকর্তারা জানান, ভ্যাকসিন সঙ্কটে দ্বিতীয় ডোজ না পেলেও প্রথম ডোজ গ্রহণকারীদের ভ্যাকসিনেশন বিফলে যাওয়ার কোনো সুযোগ নেই। কারণ প্রথম ডোজ গ্রহণকারীদের শরীরের করোনাভাইরাস প্রতিরোধে ৪০ ভাগ অ্যান্টিবডি তৈরি হতে পারে।
এমদাদুল হক মিলন/এসজে/এমএস