বিধিনিষেধ মানছেন না সিলেটের পর্যটকরা
করোরা সংক্রমণরোধে সরকারি বিধিনিষেধ থাকলেও এবার ঈদে সিলেটের পর্যটন কেন্দ্রে মানুষের ভিড় দেখা গেছে। পর্যটনস্পট ভোলাগঞ্জ সাদাপাথর, জাফলং, উৎমা, নগরের লাক্কাতুরা চা-বাগান, কাজিরবাজার গার্ডার ব্রিজ (সেলফি ব্রিজ) এবং কিনব্রিজ এলাকায় ছিলো তরুণ-তরুণীদের ভিড়। বিভিন্ন স্থান থেকে আসা এসব পর্যটক মানেনি ন্যূনতম স্বাস্থ্যবিধি।
জানা গেছে, জাফলং ও ভোলাগঞ্জ সাদাপাথর, লাক্কাতুরা এলাকায় ঈদের দিন শুক্রবার বিকেলে ও শনিবার (১৫ মে) মোটরসাইকেল, প্রাইভেট কার, সিএনজিচালিত অটোরিকশা নিয়ে দল বেধে প্রবেশ আর ঘোরাঘুরি করেন পর্যটকরা। একই অবস্থা সেলফি ব্রিজ, কিনব্রিজসহ শহরতলির বিভিন্ন চা বাগানের পাহাড়ি উঁচু নিচু এলাকায়। নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করে এখানে-ওখানে ঘুরেছেন তারা।
বিধিনিষেধ কার্যকরে পুলিশ প্রশাসনও ছিল কিছুটা উদাসীন। পর্যটনস্পটে ভিড় দেখা গেলেও পুলিশকে বাধা দিতে দেখা যায়নি।
শনিবার (১৫ মে) ঈদের পরদিন সিলেট নগরীর লাক্তাতুরা চা-বাগান এলাকায় দেখা যায়, মানুষের ভিড়। নানা বয়সের মানুষ এসেছেন চা-বাগানে। পরিবার নিয়েও এসেছেন অনেকে।
নগরীর তারাপুর চা-বাগান এলাকাতেও ভিড় ছিল মানুষের। এ বাগানের ছড়ারতীর এলাকায় সিলেট সিটি করপোরেশন নির্মিত ওয়াকওয়েতে ঘুরতে আসা মানুষ একেবারে গাদাগাদি করে ছিলেন। এমএজি ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর সড়কের বিভিন্ন চা-বাগানের পাশেই ভ্রমণ পিপাসুদের ঘুরে বেড়াতে দেখা গেছে।
পরিবার নিয়ে লাক্কাতুরা চা-বাগানে ঘুরতে আসা একটি বেসরকারি ব্যাংকের কর্মকর্তা সজিব আহমদ বলেন, ছুটি শেষ হচ্ছে আজ। কাল থেকেই আবার অফিস। বাচ্চারাও ঘরে থেকে একেবারে হাঁপিয়ে ওঠেছে। তাই বিকেলে চা-বাগানে ঘুরতে এসেছি। স্বাস্থ্যবিধি মেনেই ঘুরছি বলে জানান সজিব।
সিলেট কোতোয়ালি মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) এস এম আবু ফরহাদ বলেন, ঈদে সবাই একটু আধটু ঘুরতে চায়। তাই পুলিশ উন্মুক্ত স্থানে তেমন কড়াকড়ি করেনি। তবে সবাইকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে বলা হয়েছে।
ছামির মাহমুদ/এএইচ/জিকেএস