মজুত ফুরিয়ে যাওয়ায় নন্দীগ্রামে করোনার টিকাদান বন্ধ
মজুত ফুরিয়ে যাওয়ায় বগুড়ার নন্দীগ্রাম উপজেলায় করোনার টিকাদান কার্যক্রম বন্ধ হয়ে পড়েছে। এমন অবস্থায় টিকার প্রথম ডোজ নেয়ার পরও দ্বিতীয় ডোজ পাওয়ার নিয়ে অনিশ্চয়তার মধ্যে পড়েছেন উপজেলার দুই হাজার ৩২৫ জন নিবন্ধনকারীরা।
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, নির্দিষ্ট একটি ওয়েব পোর্টাল এবং অ্যাপসের মাধ্যমে নিবন্ধন করে করোনাভাইরাসের ভ্যাকসিন প্রদান কার্যক্রম শুরু করে সরকার। এ পোর্টালে ৪০ বছরের বেশি সাধারণ নাগরিক ও অগ্রাধিকার ভিত্তিতে যে কোনো বয়সের সম্মুখসারির করোনা যোদ্ধারা টিকা পাবেন। সে মোতাবেক নন্দীগ্রাম উপজেলায় ছয় হাজার ৪২১ জন মানুষ নিবন্ধন করেন। আর নিবন্ধন করে টিকার কোনো ডোজই দিতে পারেনি এক হাজার ৭৬৬ জন মানুষ।
তবে করোনাভাইরাস সংক্রমণ মোকাবিলায় চলতি বছরের ৭ ফেব্রুয়ারি প্রথম ধাপে চার হাজার ৬৫৫ ডোজ অক্সফোর্ডের তৈরি টিকা নন্দীগ্রাম উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে আসে। এরমধ্যে দ্বিতীয় ধাপে দুই হাজার ৩৭২ জন নিবন্ধনকারী টিকা পান। কিন্তু যথাযথ প্রক্রিয়া অনুসরণ করে নিবন্ধন করলেও ভ্যাকসিন না থাকায় টিকা গ্রহণ করতে পারেননি নন্দীগ্রাম উপজেলার দুই হাজার ৩২৫ জন নিবন্ধনকারীরা। তাদের টিকা পাওয়া নিয়ে এখন দেখা দিয়েছে অনিশ্চয়তা।
জানতে চাইলে নন্দীগ্রাম উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. তোফাজ্জল হোসেন মণ্ডল বলেন, উপজেলায় করোনার টিকার মজুত ফুরিয়ে গেছে। এখন টিকার কোনো মজুত নেই। নতুন করে সরবরাহ না পাওয়া পর্যন্ত দ্বিতীয় ডোজের টিকা প্রদান সম্ভব নয়।
আরএইচ/জিকেএস