বেনাপোলে মানা হচ্ছে না স্বাস্থ্যবিধি
করোনা ঠেকাতে শুধু মাস্ক পরাই যথেষ্ট নয়, মানতে হবে সামাজিক দূরত্বের বিধিও। কিন্তু এটা মানা হচ্ছে না। দেশের সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ শহর এখন বন্দর নগরী বেনাপোল। এখানকার সাধারণ মানুষ এমনকি ভারত থেকে আসা পাসপোর্টযাত্রীরাও মানছেন না সামাজিক দূরত্ব।
বন্দরে দায়িত্বে থাকা চিকিৎসক, ইমিগ্রেশন পুলিশ, থানা পুলিশ, উপজেলা প্রশাসন কিছুটা সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখা বিধি মানলেও তাদের নেই কোনো ব্যক্তিগত সুরক্ষা সরঞ্জাম (পিপিই)। শুধু মাস্ক ও হ্যান্ড স্যানিটাইজার দিয়ে প্রতিদিন পাসপোর্টযাত্রীদের সেবা দিয়ে যাচ্ছেন তারা।
সম্প্রতি অফিস, দোকানপাট, হাট-বাজার সবই খুলে গেছে। বেনাপোল থেকে ছেড়ে যাওয়া গণ পরিবহনে একটি সিটে একজন বসার কথা থাকলেও তা মানা হচ্ছে না।
সরেজমিনে দেখা যায়, বন্দরে সেখানে দায়িত্বে থাকা চিকিৎসকের রুমেও একসঙ্গে ৬-৭ জন প্রবেশ করছেন। ছোট্ট রুমটিতে যাত্রীদের ঠাসাঠাসি করে দাঁড়াতে হয়।
শার্শা উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) মীর আলীফ রেজা বলেন, যাদের মাস্ক নেই তাদের জরিমানা করায় কিছুটা সতর্ক ছিল। আবার এ ব্যাপারে তৎপরতা শিথিল হওয়ায় স্থানীয় সাধারণ মানুষ মাস্ক ব্যবহার করছে না।
এদিকে সোমবার (৩১ মে) বেনাপোল বন্দরে দুটি খাবার হোটেল ও একটি দোকানে স্বাস্থ্যবিধি না মেনে ব্যবসা পরিচালনা করায় জরিমানা করা হয়েছে। ভ্রাম্যমাণ আদালতের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) রাসনা শারমিন মিথি পৃথক অভিযান চালিয়ে এ আদেশ দেন।
মো. জামাল হোসেন/আরএইচ/এমএস