খুলনায় পৌঁছাল ৩২ হাজার ৮০০ সিনোফার্মার টিকা
চীনের সিনোফার্মার তৈরি করোনাভাইরাসের ৩২ হাজার ৮০০ ডোজ টিকা এসে পৌঁছেছে খুলনায়।
বুধবার (১৬ জুন) দুপুরে টিকা বহনকারী গাড়িটি নগরীর স্কুল হেলথ ক্লিনিকে পৌঁছালে খুলনার সিভিল সার্জন নিয়াজ মোহাম্মদের নেতৃত্বাধীন একটি টিম টিকাগুলো গ্রহণ করেন।
এসময় তিনি বলেন, ৩২ হাজার ৮০০ ডোজ টিকা আমরা গ্রহণ করেছি। একটি ভয়ালে (শিশি) এক ডোজ টিকা আছে। সেগুলো ইপিআই ভবনের আইএলআরে (আইস লাইনড রেফ্রিজারেটর) সংরক্ষণ করা হয়েছে। তবে এই টিকা কারা পাবেন, কবে থেকে দেয়া শুরু হবে, কোথায় দেওয়া হবে, এসব বিষয়ে এখনো কোনো নির্দেশনা পাওয়া যায়নি। আজকালের মধ্যে এসব বিষয়ে স্পষ্ট নির্দেশনা আসবে।
এদিকে খুলনা জেলায় করোনার টিকা ফুরিয়ে যাওয়ায় বন্ধ হয়ে গেছে টিকাদান কার্যক্রম। প্রথম ডোজ নেওয়ার পর দ্বিতীয় ডোজ নিতে পারেননি জেলার প্রায় ৫০ হাজার মানুষ। দ্বিতীয় ডোজ নেয়া অনিশ্চিত হয়ে পড়ায় উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েছেন অনেকে। জেলা স্বাস্থ্য বিভাগ বলছে, কবে ওই টিকা আসবে, এ বিষয়ে তাদের ধারণা নেই। তারা টিকা পাওয়ার অপেক্ষায় আছে।
খুলনা সিভিল সার্জন কার্যালয় সূত্র জানায়, খুলনায় চলতি বছরের ৩১ জানুয়ারি প্রথম ধাপে অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার এক লাখ ৬৮ হাজার ডোজ টিকা আসে। পরে ৭ এপ্রিল খুলনায় দ্বিতীয় দফায় আরও এক লাখ ২৫ হাজার ডোজ টিকা আসে। খুলনায় এখন পর্যন্ত প্রথম ডোজের টিকা পেয়েছেন এক লাখ ৭৫ হাজার ৯৫৭ জন। তাদের মধ্যে পুরুষ এক লাখ ৪ হাজার ১৩৬ জন এবং নারী ৭১ হাজার ৮২১ জন।
স্বাস্থ্য বিভাগ সূত্রে জানা যায়, এপ্রিলের প্রথম দিন থেকে প্রথম ডোজের টিকা দেয়ার সংখ্যা কমতে থাকে। আর ২৬ এপ্রিল প্রথম ডোজের টিকা দেয়া একেবারে বন্ধ হয়ে যায়। তবে তখন দ্বিতীয় ডোজ চলমান থাকে। অবশ্য টিকার পরিমাণ কমে আসায় প্রথম ডোজ যে হারে দেওয়া হয়েছিল, দ্বিতীয় ডোজে সে হার কমিয়ে টিকা গ্রহণকারীদের কাছে খুদে বার্তা দেয়া হচ্ছিল। একসময় জেলার ১৪টি টিকাদান কেন্দ্রের বেশির ভাগ বন্ধ হয়ে যায়। দু-একটি কেন্দ্রে খুব অল্প পরিমাণে টিকা দেওয়া চলছিল। চলতি মাসের ১২ জুন খুলনায় দ্বিতীয় ডোজ টিকা দেয়া একদম বন্ধ হয়ে যায়। সেদিন পর্যন্ত খুলনা জেলায় একলাখ ২৭ হাজার ৯৭৮ জন অক্সফোর্ডের দ্বিতীয় ডোজের টিকা পেয়েছেন। তাদের মধ্যে পুরুষ ৭৮ হাজার ২৮২ জন ও নারী ৪৯ হাজার ৬৯৬ জন। টিকার দ্বিতীয় ডোজের অপেক্ষায় থাকতে হচ্ছে খুলনার ৪৭ হাজার ৯৭৯ জনকে।
দ্বিতীয় ডোজের টিকার বিষয়ে খুলনার সিভিল সার্জন নিয়াজ মোহাম্মদ বলেন, নিশ্চয়ই এ ব্যাপারে নির্দেশনা আসবে। সে অনুযায়ী পদক্ষেপ নেওয়া হবে।
আলমগীর হান্নান/আরএইচ/এমএস