নেত্রকোনায় একই পরিবারের ৮ জনসহ আরও ১৮ জনের করোনা শনাক্ত
নেত্রকোনার ভারতীয় সীমান্তে একটি গ্রামে একই পরিবারের আটজনসহ জেলায় করোনা শনাক্ত হয়েছে ১৮ জনের। এদের মধ্যে ১৩ জন পুরুষ ও পাঁচজন নারী রয়েছেন।
রোববার (২০ জুন) রাত সাড়ে ৯টায় নেত্রকোনার সিভিল সার্জন ডা. মো. সেলিম মিঞা এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
জেলা সিভিল সার্জন অফিসের তথ্য অনুযায়ী, সদর উপজেলায় পৌরশহরে চারজন, আটপাড়া ও বারহাট্টায় দুজন, মোহনগঞ্জে একজন ও ভারতীয় সীমান্তে দুর্গাপুরে রয়েছেন ৯ জন। এদের মধ্যে শিশুসহ একই পরিবারের আটজন রয়েছেন ও তারা সকলেই দুর্গাপুরের চন্ডিগড় ইউনিয়নে আলমপুর গ্রামের। আরেকজন হলেন দুর্গাপুর পৌরশহরের ২নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা।
দুর্গাপুর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক মেডিকেল অফিসার (আরএমও) ডা. মো. তানজিরুল ইসলাম জানান, গত ১৯ জুন উপজেলার আলমপুর গ্রামের এক মা ও মেয়ের নমুনা পরীক্ষায় করোনা শনাক্ত হয়। পরে রোববার ওই পরিবারের ৯ জনের নমুনা পরীক্ষাগারে পাঠানো হয়। রাতে ওই পরিবারের ছয় বছরের এক শিশুসহ আটজন শনাক্ত হন। এছাড়া পৌরশরের ২নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা ৫০ বছর বয়সী এক ইমামও রয়েছেন শনাক্তের তালিকায়।
তিনি আরো বলেন, গত মাসে উপজেলায় শনাক্তকৃত রোগীর ছিলেন দুজন। চলতি মাসে ২০ জুন পর্যন্ত এ সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ২৫ জনে। আর গত সাতদিনে জেলায় করোনা শনাক্ত হয়েছে ২৩ জনের।
এ খবর ছড়িয়ে পড়লে জেলার সীমান্তবর্তী উপজেলা দুর্গাপুরের উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ড. মোহাম্মদ রাজীব উল আহসান ও কলমাকান্দার ইউএনও মো. সোহেল রানা রাতেই নিজ নিজ উপজেলায় কঠোর বিধিনিষেধের গণবিজ্ঞপ্তি জারি করেন।
গণবিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, দুই উপজেলায় ওষুধের দোকান ব্যতিত ভারতীয় সীমান্তবর্তী এলাকাসমূহে সব দোকান সন্ধ্যা ৬টা ও অন্যান্য এলাকায় ৭টার মধ্যে বন্ধ করতে হবে। এ বিধিনিষেধ বাস্তবায়নে একাধিক ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করা হবে ও এ নির্দেশনা ২০ জুন থেকেই কার্যকর হবে।
নেত্রকোনার সিভিল সার্জন ডা. মো. সেলিম মিঞা বলেন, রোববার জেলায় করোনার র্যাপিড অ্যান্টিজেন টেস্টে ৩৬ জনের মধ্যে শনাক্ত হয়েছেন ১৮ জনের। এছাড়াও জেলার ৭৫ জনের নমুনা পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়েছে। এরমধ্যে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজে হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে ১০ জনের নমুনা।
এইচ এম কামাল/এসএমএম/জেআইএম