রাজশাহীতে মাসের প্রথমদিনেই ৩৭৭ শনাক্ত, বেড়েছে সংক্রমণের হার
জুলাইয়ের প্রথমদিনেই রাজশাহীতে বেড়েছে শনাক্ত ও সক্রমণের হার। জেলায় গত ২৪ ঘণ্টায় ১ হাজার ৫৯০ জনের নমুনা পরীক্ষায় ৩৭৭ জনের দেহে করোনা শনাক্ত হয়েছে। শনাক্তের হার ২৩ দশমিক ৭১ শতাংশ, যা আগের চেয়ে ২ দশমিক ৫১ শতাংশ বেশি।
বৃহস্পতিবার (১ জুলাই) সকালে বিষয়টি নিশ্চিত করেন রাজশাহীর সিভিল সার্জন ডা. কাইয়ুম তালুকদার।
রাজশাহী সিভিল সার্জনের গত এক সপ্তাহের রিপোর্ট পর্যালোচনায় দেখা যায়, গত জুনে সপ্তাহজুড়ে সংক্রমণের হার ছিল কম। গত ২৪ জুনে রাজশাহী জেলায় সংক্রমণের হার ছিল ১৯ দশমিক ১৫ শতাংশ, ২৫ জুনে ১৭ দশমিক ৫৪ শতাংশ, ২৬ জুনে ১৯ দশমিক ৭৯ শতাংশ, ২৭ জুনে ২০ দশমিক ২৪ শতাংশ, ২৮ জুনে ১৭ দশমিক ৯২ শতাংশ, ২৯ জুনে ২১ দশমিক ১৭ শতাংশ ও মাসের শেষ দিন তা বৃদ্ধি পেয়ে দাঁড়ায় ২১ দশমিক ২০ শতাংশে। অপরদিকে মাসের প্রথমদিনেই হার বৃদ্ধি পেয়ে দাঁড়িয়েছে ২৩ দশমিক ৭১ শতাংশে।
রাজশাহী সিভিল সার্জন কার্যালয়ের তথ্য অনুযায়ী, গত ২৪ ঘন্টায় রাজশাহী জেলায় আরটিপিসিআর মেশিনে ৪০৬ জনের নমুনা পরীক্ষায় করোনা শনাক্ত হয়েছেন ১৬২ জন। রাজশাহীর ৯ উপজেলায় মোট ২৬৯ জনের র্যাপিড অ্যান্টেজেন টেস্টে করা হয়। এতে শনাক্ত হন ৭৩ জন।
আর রাজশাহী সিটি করপোরেশন (রাসিক) থেকে ৯১৫ জনের র্যাপিড অ্যান্টিজেন টেস্টে ১৪২ জনের করোনা শনাক্ত হয়। এছাড়া গত ২৪ ঘন্টায় কোনো জিন এক্সপার্ট টেস্ট করা হয়নি।
এদিকে করোনা পরীক্ষা ও সংক্রমণের বিষয়ে রামেক কর্তৃপক্ষ বলেন, গত ২৪ ঘণ্টায় রামেক হাসপাতালের পিসিআর মেশিনে ১৮৮টি নমুনা পরীক্ষায় ৪৭ জনের করোনা পজিটিভ রিপোর্ট এসেছে। আর মেডিকেল কলেজের পিসিআর মেশিনে ৩৬৫ জনের নমুনা পরীক্ষায় ২০১ জনের করোনা পজিটিভ রিপোর্ট আসে। দুই ল্যাবের টেস্টে মোট ৫৫৩ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়। এতে ২৪৮ জনের করোনা পজিটিভ রিপোর্ট আসে। পরীক্ষা বিবেচনায় শনাক্তের হার ৩৯ দশমিক ৯০ শতাংশ, যা অন্যান্য দিনের তুলনায় বেশি।
রাজশাহীর সিভিল সার্জন ডা. কাইয়ুম তালুকদার বলেন, ‘যতক্ষণ পর্যন্ত মানুষ সচেতন না হচ্ছে, ততক্ষণ পর্যন্ত সংক্রমণ প্রতিরোধ করা সম্ভব নয়। এজন্য সবাইকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে হবে।’
করোনা ঠেকাতে সাতদিনের লকডাউন কেমন কার্যকর হবে?- প্রশ্নে উত্তরে তিনি বলেন, ‘সরকার ঘোষিত সাতদিনের লকডাউন কিছুটা হলেও করোনা প্রতিরোধে কার্যকর হবে। মানুষ ঘরে থাকলে সংক্রমিত করার বা হওয়ার সম্ভবনা কমে যায়। সেক্ষেত্রে এটি কার্যকর হবে, তবে এ ধরনের কঠোর বিধিনিষেধের সময়সীমা আরেককটু বেশি হলে সেটি আরও কার্যকর হতো।’
ফয়সাল আহমেদ/এসএমএম/এমকেএইচ