নওগাঁয় লকডাউনে বিপাকে নিম্নআয়ের মানুষ
করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ঠেকাতে সারা দেশের মতো নওগাঁয়ও চলছে কঠোর লকডাউন। লকডাউন বাস্তবায়নে জেলার ১১টি উপজেলায় সেনাবাহিনীর ৫টি ও বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ ৮টি টিম মোতায়েন আছে। এছাড়া পুুলিশের পাশাপাশি আনসার বাহিনী, রোভার স্কাউট ও স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা মাঠে কাজ করছে।
আর জেলা প্রশাসনের ৩৪টি নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের ভ্রাম্যমাণ আদালতও কাজ করছে। রাস্তায় মানুষ একান্ত প্রয়োজন ছাড়া বের হচ্ছে না। যারা প্রয়োজনে রাস্তায় বের হচ্ছে, যানবাহন না পেয়ে পায়ে হেঁটে চলাচল করছেন।
তবে লকডাউনে বিপাকে পড়েছেন নিম্নআয়ের খেটে খাওয়া মানুষ। তাদের মধ্যে রিকশাচালক, শ্রমিক, চা-পান দোকানিসহ ফুটপাতের দোকানিরা সবচেয়ে বেশি বিপাকে পড়েছেন। লকডাউনে আয়-রোজগার বন্ধ থাকায় অসহায় হয়ে পড়েছে নিম্নআয়ের খেটে খাওয়া মানুষ।
সদর উপজেলার ভবানীগাতি গ্রামের বৃদ্ধ রিকশাচালক আয়েজ উদ্দিন বলেন, ‘লকডাউনের কারণে দুইদিন বাড়িতে বসে। পবিরারে তিন সদস্য। প্রতিদিন চাল, শাক-সবজি কিনতে প্রায় ২০০ টাকা খরচ হয়। ঘরে থাকলে না খেয়ে মরতে হবে। আর রাস্তায় গেলে জরিমানা।’
জেলা সিভিল সার্জন অফিস সূত্রে জানা গেছে, নওগাঁয় এ পর্যন্ত করোনায় ৮৮ জন মারা গেছেন। শনিবার সকাল ৮টা থেকে রোববার সকাল ৮টা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় ২৭৪ জনের নমুনা পরীক্ষা করে ৫১ জনের শরীরে করোনা শনাক্ত হয়েছে।
আব্বাস আলী/এএএইচ/জিকেএস