চুয়াডাঙ্গা হাসপাতালে স্থাপন হচ্ছে ৬ বেডের আইসিইউ

জেলা প্রতিনিধি
জেলা প্রতিনিধি জেলা প্রতিনিধি চুয়াডাঙ্গা
প্রকাশিত: ০৯:৩০ পিএম, ২৭ জুলাই ২০২১

চুয়াডাঙ্গায় জেলাসহ দেশের সীমান্তবর্তী জেলাগুলোতে করোনার প্রাদুর্ভাব দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। এরই মধ্যে ডেল্টা ভেরিয়েন্টে (ভারতীয় ধরণ) আক্রান্ত রোগীর মৃত্যুর সংখ্যাও বৃদ্ধি পাচ্ছে। করোনাভাইরাস প্রতিরোধে স্থানীয় প্রশাসন দফায় দফায় জেলার বিভিন্ন স্থানে লকডাউনও দিয়েছেন। এরপরও করোনা সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব হচ্ছে না। করোনা আক্রান্ত রোগীর অধিকাংশ হাসপাতালে ভর্তি হয়ে চিকিৎসা নিচ্ছেন।

গত ৬ মাস ধরে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালসহ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সগুলোতে শয্যা সংখ্যার দ্বিগুণ রোগী ভর্তি হওয়ায় চিকিৎসা দিতে হিমশিম খেতে হচ্ছে কর্তৃপক্ষকে। করোনা রোগীদের মধ্যে যাদের শারীরিক অবস্থার অবনতি হচ্ছে তাদেরকে উন্নত চিকিৎসার জন্য আইসিইউতে রাখতে ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন যায়গায় রেফার করা হচ্ছে।

গরিব, দুস্থ ও অসহায় রোগীদের ঢাকায় নিয়ে আইসিইউতে ভর্তি করানো কষ্টসাধ্য ব্যাপার। এ অবস্থায় চুয়াডাঙ্গার জেলা প্রশাসক মো. নজরুল ইসলাম সরকার চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে আইসিইউর ব্যবস্থার জন্য গত বছরের জুলাই মাস থেকে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের কাছে আবেদন করেন। পাশাপাশি তিনি বেসরকারিভাবেও চেষ্টা করছিলেন।
জেলা প্রশাসকের আহ্বানে সাড়া দিয়ে সোমবার (২৬ জুলাই) সাজিদা ফাউন্ডেশন নামের একটি বেসরকারি সংস্থা চুয়াডাঙ্গায় করোনা রোগীদের চিকিৎসার জন্য আইসিইউর ব্যবস্থা করে।

৬ শয্যা বিশিষ্ট ওই আইসিইউতে ৪৪ জন অভিজ্ঞ লোক সবসময় নিয়োজিত থাকবেন। এর মধ্যে ১০ জন অভিজ্ঞ চিকিৎসক, ১৪ জন সেবিকা, সাতজন সহকারী সেবিকা, ছয়জন পরিচ্ছন্নকর্মী, তিনজন নিরাপত্তা প্রহরী, তিনজন গ্রাহক সেবী ও একজন হিসাবরক্ষক থাকবেন। এছাড়া প্রতিষ্ঠানটি আইসিইউ সংক্রান্ত প্রয়োজনীয় চিকিৎসা সামগ্রীও দিয়েছে। আইসিইউ পরিচালনার ক্ষেত্রে সব আর্থিক সহায়তাও বহন করবে সাজিদা ফাউন্ডেশন।

দীর্ঘদিনের চাওয়া আইসিইউ সুবিধা ব্যবস্থার জন্য চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রশাসক মো. নজরুল ইসলাম সরকার ও সাজিদা ফাউন্ডেশনকে ধন্যবাদ এবং কৃতজ্ঞতা জানিয়েছেন জেলাবাসী।

এ ব্যাপারে চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রশাসক মো. নজরুল ইসলাম সরকার বলেন, ‘আমরা সরকারি চাকরিজীবী হিসেবে এলাকার মানুষের কল্যাণে এবং মানুষের উপকারে কাজ করায় আমাদের দায়িত্ব। আমরা আইসিইউর সুবিধার জন্য সরকারের সঙ্গে গত এক বছর ধরে যোগাযোগ করছি। এরইমধ্যে সাজিদা ফাউন্ডেশন নিজেরা এসে আইসিইউর ব্যবস্থা করে দিচ্ছে।’

তিনি আরও বলেন, ‘এক বছর চেষ্টার পর এটা হয়েছে। এটা চুয়াডাঙ্গাবাসীর জন্য বড় একটা সু-খবর। চুয়াডাঙ্গাবাসীর কল্যাণের জন্য কাজ করতে পেরেছি এটা আমাদের বড় একটা সার্থকতা।’

উল্লেখ্য, করোনায় আক্রান্ত হয়ে চুয়াডাঙ্গায় এ পর্যন্ত মোট ১৭১ জনের মৃত্যু হয়েছে। এর মধ্যে জেলায় ১৫৪ জন এবং জেলার বাইরে ১৭ জন। বর্তমানে জেলায় করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত সক্রিয় রোগী রয়েছেন ১ হাজার ৯৭২ জন। জেলায় করোনা আক্রান্ত মোট রোগীর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৫ হাজার ৮৫৫ জনে। জেলায় মোট সুস্থ হয়েছেন ৩ হাজার ৭১২ জন।

সালাউদ্দীন কাজল/এসজে/এমকেএইচ

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।