জীবিকার তাগিদে স্বাস্থ্যঝুঁকি নিয়েই ঢাকা ফিরছে মানুষ
অডিও শুনুন
‘ঈদের আগে গাড়ি চলতে দিলো, ঈদের পর বন্ধ করে দিয়ে সরকার এখন গার্মেন্টস খুলে দিলো তাহলে আমরা কিভাবে যাব বলেন? ঈদে বাড়ি এসে সব টাকা শেষ হয়ে গেছে, এখন এইভাবে ট্রাকে যেতে অনেক টাকা লাগছে। যে কয়টা টাকা আছে তা রাস্তাতেই শেষ হয়ে যাবে। ঢাকা গিয়ে খাবো কী আমরা?’ এভাবেই কষ্টের কথাগুলো বলছিলেন গার্মেন্টসকর্মী শাহানাজ বেগম।
রোববার (১ আগস্ট) থেকে গার্মেন্টসসহ অন্যান্য কিছু শিল্পকারখানা খোলার খবরে কোরবানি ঈদে বাড়িতে যাওয়া কর্মজীবী মানুষেরা ঢাকায় ফিরতে শুরু করেছেন।
গণপরিবহন চলাচল না করায় শনিবার (৩১ জুলাই) সকাল থেকেই ঠাকুরগাঁও শহরের বাসস্ট্যান্ড থেকে বৃষ্টি উপেক্ষা পণ্যবাহী ট্রাকে গাদাগাদি করে ঢাকায় দিকে ছুটছে কর্মজীবী মানুষ।
কোথাও মানা হচ্ছে না নূন্যতম স্বাস্থ্যবিধি। এতে করোনার সংক্রমণ আরও বাড়তে পারে বলে মনে করছেন স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা।
শনিবার ঠাকুরগাঁও বাসস্ট্যান্ড এলাকায় গার্মেন্টস শ্রমিক হাসিনুর রহমান বলেন, ‘রোববার থেকে গার্মেন্টস খুলবে। কোনো বাস চলাচল না করায় বাধ্য হয়ে ট্রাকে করে ঢাকা যাচ্ছি। আমরা গরিব মানুষ যদি কাল গার্মেন্টসে না যাই তাহলে চাকরি চলে যাবে, তখন কী হবে?’
নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লার পোশাক কারখানায় চাকরি করেন ঠাকুরগাঁওয়ের সিরাজুল মিয়া। তিনি বলেন, ‘গার্মেন্টস থেকে বারবার ফোন দিচ্ছে না গেলে চাকরি থাকবে না। তাই বাধ্য হয়ে ৬০০ টাকার ভাড়া ১৫০০ টাকা দিয়ে ট্রাকে করে ঢাকায় যাচ্ছি।’
ঠাকুরগাঁও সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) তানভীরুল ইসলাম বলেন, ‘পণ্যবাহী ট্রাকে যাত্রী বহন করায় পুলিশের পক্ষ থেকে বাধা দেয়া হচ্ছে। আমরা চেষ্টা করছি। কোনো পণ্যবাহী ট্রাকে যেন মানুষ না যায়। এদিকে গার্মেন্টসসহ শিল্পকারখানা আগামীকাল থেকে খোলা হবে বলে কর্মজীবী মানুষগুলো ঢাকা ফিরতে ঢল নেমেছে মহাসড়কে।’
তানভীর হাসান তানু/এমআরআর