রোগীর চাপ সামলাতে বরিশালে চালু হচ্ছে আরও দুই করোনা ইউনিট
সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ায় বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের করোনা ইউনিট ও সদর হাসপাতালের করোনা ইউনিটে প্রতিদিনই রোগীর চাপ বাড়ছে। এতে দেখা দিয়েছে শয্যা সঙ্কট। অবস্থা নিরসনে ২০ শয্যা বিশিষ্ট নগরীর ১৯নং ওয়ার্ডের মা ও শিশু কল্যাণ কেন্দ্রকে করোনা ইউনিট করার সিদ্ধান্ত হয়েছে। পাশাপাশি বরিশালের উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে মোট ১৮০ বেড করোনা রোগীদের জন্য প্রস্তুত করা হচ্ছে। এছাড়া নগরীর বেসরকারি একটি হাসপাতালকে করোনা ইউনিটে রূপান্তরের পরিকল্পনা করা হয়েছে।
মঙ্গলবার (৩ আগস্ট) দুপুরের বরিশাল জেলা প্রশাসক জসীম উদ্দীন হায়দারের সভাপতিত্বে করোনা পরিস্থিতি নিয়ে বিভাগীয় স্বাস্থ্য অধিদফতরের কর্মকর্তা এবং বেসরকারি হাসপাতালের মালিক ও পরিচালকদের নিয়ে মতবিনিময় সভায় এ সিদ্ধান্ত হয়।
জেলা প্রশাসকের অফিস কক্ষে আয়োজিত সভায় বরিশাল বিভাগীয় স্বাস্থ্য অধিদফতরের পরিচালক ডা. বাসুদেব কুমার দাস, পরিবার পরিকল্পনা অধিদফতরের বিভাগীয় পরিচালক মো. আবদুস সালাম, বরিশাল জেলা সিভিল সার্জন ডা. মনোয়ার হোসেন, শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক ডা. মো. মনিরুজ্জামান, শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক ডা. এইচ এম সাইফুল ইসলাম, উপ-পরিচালক ডা. জসিম উদ্দিন, পরিবার পরিকল্পনা অধিদফতরের উপপরিচালক পরিবার পরিকল্পনা বরিশাল ডা. মো. তৈয়বুর রহমান, নগরীর বেসরকারি হাসপাতাল সাউথ এপোলো মেডিকেল কলেজের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডা. মো. জহিরুল হক, আরিফ মেমরিয়াল হাসপাতালের পরিচালক ডা. মো. নজরুল ইসলাম, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) বরিশাল গৌতম বাড়ৈ, অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট (এডিএম) রবিউল ইসলাম খান প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
বিভাগীয় স্বাস্থ্য অধিদফতরের পরিচালক ডা. বাসুদেব কুমার দাস জাগো নিউজকে জানান, বরিশালে করোনা পরিস্থিতি দিন দিন খারাপ হচ্ছে। আশঙ্কাজনক হারে বৃদ্ধি পাচ্ছে মৃত্যু ও আক্রান্তের সংখ্যা। ফলে দক্ষিণাঞ্চলের অন্যতম চিকিৎসা কেন্দ্র বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ও সদর হাসপাতালের করোনা ইউনিটে প্রতিদিনই রোগীর চাপ বাড়ছে। রোগীর বেড়ে যাওয়ায় চিকিৎসা হিমশিম খাচ্ছেন চিকিৎসক, নার্স ও স্বাস্থ্যকর্মীরা।
তিনি বলেন, সভায় বরিশাল জেলা ও বিভাগের করোনার সার্বিক পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা হয়। সভায় উপস্থিত সবার পরামর্শে ২০ শয্যা বিশিষ্ট নগরীর ১৯নং ওয়ার্ডের কালীবাড়ি রোডের মা ও শিশু কল্যাণ কেন্দ্রকে করোনা ইউনিট হিসেবে চালুর সিদ্ধান্ত হয়েছে। পাশাপাশি বরিশালের উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ২০টি করে ১৮০ বেড করোনা রোগীদের জন্য প্রস্তুতের সিদ্ধান্ত হয়। এছাড়া নগরীর বেসরকারি একটি হাসপাতালকে করোনা ইউনিটে রূপান্তরের পরিকল্পনা নেয়া হয়েছে।
ডা. বাসুদেব কুমার দাস বলেন, কালীবাড়ি রোডের মা ও শিশু কল্যাণ কেন্দ্র করোনা ইউনিটে শুধুমাত্র নারী করোনা পজিটিভ রোগীদের ভর্তি করা হবে। ২০ শয্যার মধ্যে দুই বেড কোভিড আক্রান্ত প্রসূতিদের জন্য আলাদা রাখা হচ্ছে।
বরিশাল জেলা প্রশাসক জসীম উদ্দীন হায়দার জানান, সংক্রমণ বৃদ্ধি পাওয়ায় মতবিনিময় সভা থেকে নানা পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে। সব কিছুই করা হচ্ছে করনোর দুর্ভোগ কমাতে ও চিকিৎসাসেবা নিশ্চিত করতে।
সাইফ আমীন/এএইচ/এএসএম