টিকা নিতে এসে তারা জানলেন তালিকায় নাম নেই
নওগাঁয় চলছে করোনার গণটিকা কর্মসূচি। তবে নির্ধারিত তালিকায় নাম না থাকায় কেন্দ্রে এসেও ফিরে যেতে হচ্ছে অনেককে। তাদের টিকা পরে দেয়া হবে বলে জানানো হয়েছে।
শনিবার (৭ আগস্ট) সকাল ৯টায় সদর উপজেলার বক্তারপুর ইউনিয়নের চাকলা স্কুল কেন্দ্রে এ ঘটনা ঘটে।।
টিকা নিতে আসা নারগিস বেগম বলেন, সবাই বললো জাতীয় পরিচয়পত্রের ফটোকপি নিয়ে আসলেই টিকা দেবে। কিন্তু এখন এসে দেখি সিরিয়ালে নাম নেই। কেন্দ্রের লোকজন ভোটার আইডি কার্ডের ফটোকপি ও মোবাইল নম্বর নিয়েছে। কবে টিকা দেবে তা পরে জানিয়ে জানাবে বলেছে।
হরিপুর গ্রামের শহিদুল ইসলাম বলেন, স্বামী- স্ত্রী দুজনে টিকা নিয়েছি। তবে ছেলের বউয়ের নাম তালিকায় না থাকায় নিতে পারেনি। আবার অনেকের নাম তালিকায় থাকলেও সঙ্গে জাতীয় পরিচয়পত্রের ফটোকপি নিয়ে না আসায় আবারও বাড়ি যেয়ে তা নিয়ে আসতে হয়েছে।
সরেজমিনে সদর উপজেলার বক্তারপুর ইউনিয়নের চাকলা উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্রে দেখা যায়, নির্ধারিত সময়ের আগেই জাতীয় পরিচয়পত্রের ফটোকপি নিয়ে টিকা নিতে কেন্দ্রে আসেন অনেকে। স্বেচ্ছাসেবীদের সহযোগিতায় টিকার সিরিয়াল নিয়ে নির্ধারিত বুথে গিয়ে টিকা নেন তারা। সকাল থেকে টিকা নিতে নারীদের ভিড় বেশি থাকলেও পুরুষদের সংখ্যা ছিল তুলনামূলক কম। অনেকে আবার কেন্দ্রে এসেছেন মাস্ক ছাড়া। ইউনিয়ন পরিষদ থেকে তাদের মাস্ক দেয়া হয় এবং টিকা নেয়ার পরও তাদের মাস্ক ব্যবহারের পরামর্শ দেয়া হয়।
দীঘা গ্রামের বাসিন্দা বুলবুলি ও শাহারা বেগম বলেন, ‘আমরা গ্রামের মানুষ। টিকা নিতে হবে এমন তথ্য জানতাম না। দুইদিন আগে ইউনিয়ন পরিষদ থেকে গ্রাম পুলিশ বাড়ি গিয়ে ভোটার আইডি কার্ডের ফটোকপি নিয়ে আসার পর জানতে পারছি সরকার বিনামূল্যে টিকা দেবে। তাই নিজের সুরক্ষার জন্য টিকা নিচ্ছি।’
বক্তারপুর ইউপি চেয়ারম্যান মোরশেদুল আলম বলেন, ইউনিয়নে তিনটি বুথে ছয়জন অভিজ্ঞ প্রশিক্ষকসহ ৪০ স্বেচ্ছাসেবীর মাধ্যমে টিকা কার্যক্রম চলছে। ইউনিয়নটির তিনটি ওয়ার্ডের ৬০০ জনকে টিকা দেয়া হবে। অনেকে না বুঝে জাতীয় পরিচয়পত্র সঙ্গে না নিয়ে টিকা নিতে কেন্দ্রে এসেছিলেন। তাদের নাম তালিকায় না থাকায় ফিরে যেতে হয়েছে। আগামীতে তাদের নাম তালিকাভুক্ত করে টিকা দেয়া হবে।
নওগাঁ জেলা সিভিল সার্জন ডা. এ বি এম আবু হানিফ বলেন, জেলায় ৩১৫ কেন্দ্রে ১৬ হাজারের বেশি কর্মীর মাধ্যেম টিকা কার্যক্রম চলছে। যেখান ৬৪ হাজার মানুষের টিকা পাওয়ার কথা রয়েছে।
আব্বাস আলী/এএইচ/এমকেএইচ