চোরের ফেলে যাওয়া গরু নিয়ে বিপাকে পুলিশ
ঝিনাইদহের কালীগঞ্জে চোরের ফেলে যাওয়া গরুর মালিকানা দাবি করছে একাধিক ব্যক্তি। বৃহস্পতিবার (১৯ আগস্ট) বিকেল পর্যন্ত চারজন ব্যক্তি গরুগুলোর মালিকানা দাবি করেন। এ নিয়ে বিপাকে পড়েছে কালীগঞ্জ থানা পুলিশ। অবশেষে গরুগুলোর মালিকানা ঠিক করতে ঝিনাইদহ আদালতে প্রতিবেদন পাঠানো হয়।
গরুর মালিকানা দাবি করা ব্যক্তিরা হলেন- কালীগঞ্জ পৌর শহরের নিশ্চিন্তপুর এলাকার ইমান আলীর তিনটি, মধুগঞ্জ পাড়ার মুন্নার একটি, ঢাকালে পাড়ার পারভেজ রহমান রচি একটি ও পৌরসভার পানির লাইনের কর্মচারী নুর ইসলাম একটি।
এর আগে মঙ্গলবার (১৭ আগস্ট) দিবাগত রাতে কালীগঞ্জ উপজেলার ৭ নম্বর রায়গ্রাম ইউনিয়নের দুলালমুন্দিয়া গ্রামে চোরেরা ছয়টি গরু ফেলে রেখে যায়। বুধবার সকালে গ্রামে গরুগুলো দেখতে পেয়ে গ্রামবাসী আটকে রাখে। পরে ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান গরুগুলো থানা পুলিশের হাতে তুলে দেন।
গরু পাওয়ার খবর ছড়িয়ে পড়লে বিভিন্ন এলাকা থেকে মানুষ গরু দেখতে আসে। বৃহস্পতিবার বিকেল পর্যন্ত চারজন ব্যক্তি গরুগুলোর মালিকানা দাবি করেন। বিষয়টি নিয়ে দ্বিধাদ্বন্দ্বে পড়ে যায় পুলিশ। পরে বৃহস্পতিবার বিকেলে গরুর মালিকানা নিশ্চিত করতে ঝিনাইদহে আদালতে প্রতিবেদন পাঠানো হয়। সেখান থেকে মালিকরা উপযুক্ত প্রমাণ দিয়ে গরু গ্রহণ করবেন বলে জানায় পুলিশ।
গরুর দাবিদার নুর ইসলাম বলেন, উদ্ধার হওয়া গরুর মধ্যে আমার একটি কালো রঙের ষাঁড় রয়েছে। মঙ্গলবার দিবাগত রাতে বাড়ি থেকে হারিয়ে যায়। বুধবার থেকে আমি আমার গরু পেতে থানায় ঘুরছি। বৃহস্পতিবার থানা থেকে জানিয়ে দেয় আদালত থেকে গরু নিতে হবে। এখন আদালতে যাব।
কালীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাহফুজুর রহমান মিয়া বলেন, চোরের ফেলে যাওয়া গরু উদ্ধারের পর থেকে অনেকে মালিকানা দাবি করছে। এখনো অনেকে নিজের গরু দাবি করে দেখতে আসছে। তাই আমরা গরুগুলোর প্রতিবেদন কোর্টে পাঠিয়ে দিচ্ছি। সেখান থেকে তারা প্রমাণ দিয়ে গরু নিয়ে যাবে।
আব্দুল্লাহ আল মাসুদ/এসজে/জেআইএম