কলেজছাত্রকে হত্যার পর মুক্তিপণ দাবি, টাকা আনতে গিয়ে ধরা

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক নিজস্ব প্রতিবেদক খুলনা
প্রকাশিত: ০৯:৩৯ পিএম, ০৮ নভেম্বর ২০২১

খুলনার পাইকগাছায় আমিনুর রহমান (২০) নামে এক কলেজছাত্রকে অপহরণ করে হত্যার পর মুক্তিপণ দাবি করে ফয়সাল সরদার নামের এক ব্যক্তি। মুক্তিপণের আংশিক টাকা নিতে গিয়ে জনতা ও পুলিশের হাতে আটক হন তিনি। পরে পুলিশের কাছে হত্যার কথা স্বীকার করেন ফয়সাল। সোমবার (৮ নভেম্বর) দুপুরে পাইকগাছা ব্রিজের নিচে এ ঘটনা ঘটে।

নিহত আমিনুর উপজেলার শ্যামনগর গ্রামের ছুরমান গাজীর ছেলে ও কপিলমুনি কলেজের একাদশ শ্রেণীর ছাত্র। আটক ফয়সাল গদাইপুর গ্রামের জিল্লুর রহমানের ছেলে।

পাইকগাছা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. জিয়াউর রহমান বলেন, রোববার রাত ৯টার দিকে আগড়ঘাটা বাজার থেকে ফয়সালসহ চার-পাঁচজনের একটি চক্র আমিনুর রহমানকে অপহরণ করে। তাকে আমার জুসের সঙ্গে ঘুমের ওষুধ খাইয়ে অচেতন করা হয়। আমিনুর অচেতন হয়ে পড়লে ফয়সাল তাকে গলা কেটে হত্যা করে। তার মরদেহ কপোতাক্ষ নদে ভাসিয়ে দেয় ফয়সাল। নদীর তীরে রক্ত দেখা গেলেও মরদেহের কোনো সন্ধান মেলেনি।

বিজ্ঞাপন

ওসি আরও বলেন, হত্যার পর আমিনুরের মোবাইল থেকে তার বাবার কাছে ফোন করে ১০ লাখ টাকা মুক্তিপন দাবি করে ফয়সাল। যা পাইকগাছা ব্রিজের নিচে রাখতে বলে। ফয়সালের কথা অনুযায়ী কিছু টাকাও সেখানে রাখা হয়। সোমবার দুপুর ১টার দিকে টাকা নিয়ে চলে চলে যাওয়ার সময় স্থানীয় জনতা ফয়সালকে আটক করে পুলিশে দেয়। সে নিজেকে সেনাবাহিনীর কর্মকর্তার পরিচয় দেয়। তার সঙ্গে আরও চার-পাঁচজন আছে বলে অপহৃতের বাবা জানিয়েছেন।

ওসি জিয়াউর রহমান বলেন, ফয়সালকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। তবে এখনো মামলা হয়নি।

বিজ্ঞাপন

বিজ্ঞাপন

আলমগীর হান্নান/এসজে/এমএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন jagofeature@gmail.com ঠিকানায়।