তিন শিক্ষক করোনায় আক্রান্ত, স্কুল বন্ধ ঘোষণা
![তিন শিক্ষক করোনায় আক্রান্ত, স্কুল বন্ধ ঘোষণা](https://cdn.jagonews24.com/media/imgAllNew/BG/2019November/school-20211124083840.jpg)
অডিও শুনুন
পাবনার বেড়া উপজেলার নগরবাড়ী ঘাট সংলগ্ন রাজনারায়নপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের তিন শিক্ষক করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। এ অবস্থায় কর্তৃপক্ষ বিদ্যালয়টি বুধবার (২৪ নভেম্বর) থেকে আপাতত ৭ দিন বন্ধ ঘোষণা করেছে।
করোনায় আক্রান্ত শিক্ষকদের নিজ নিজ বাড়িতে ১৪ দিন কোয়ারেন্টাইনে থাকার নির্দেশ দিয়েছে উপজেলা প্রশাসন।
আক্রান্ত শিক্ষকরা হলেন, সহকারী শিক্ষক শামীমা আক্তার (৩২), সহকারী শিক্ষক ইফফাত আরা ও সহকারী শিক্ষক মহব্বত আলী।
রাজনারায়নপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক রেহেনা খাতুন ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, গত ১৪ নভেম্বর স্কুলের শিক্ষিকা শামীমা আক্তার করোনা পরীক্ষা করালে তার শরীরে করোনা পজিটিভ ধরা পড়ে। ১৬ নভেম্বর অন্য ৭ জন শিক্ষক করোনা পরীক্ষা করলে সহকারী শিক্ষক ইফফাত আরা ও সহকারী শিক্ষক মহব্বত আলীর করোনা পজিটিভ রিপোর্ট আসে।
এ খবর শিক্ষার্থীদের মাঝে ছড়িয়ে পড়লে শিক্ষার্থীরা স্কুলে আসা বন্ধ করে দেয়। পরে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তার নির্দেশে বুধবার (২৪ নভেম্বর) থেকে স্কুল আপাতত বন্ধ করা হয়েছে।
এ ব্যাপারে উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা মো. কফিল উদ্দিনের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, ওই স্কুলে সাড়ে ৩শ শিক্ষার্থী রয়েছে। শিক্ষকদের করোনা পজিটিভ হওয়ার খবরে শিক্ষার্থীরা স্কুলে আসা বন্ধ করে দেয়। এ অবস্থায় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার সঙ্গে পরামর্শ করে অপাতত স্কুল বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে। নির্দেশনা পাওয়ার পর পরবর্তী ব্যবস্থা নেয়া হবে।
এ ব্যাপারে জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার খন্দকার মনসুর আলী জানান, বিষয়টি শোনার পরপরই তারা স্থানীয়ভাবে আপাতত স্কুল বন্ধ ঘোষণা করেছেন। ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করছি এবং সে অনুযায়ী পরবর্তী অবস্থা বুঝে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. সবুর আলীর সঙ্গে যোগাযোগ করলে তিনি বলেন, শিক্ষা বিভাগের কর্মকর্তা ও সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে আলোচনা করে মরণঘাতি করোনার কারণে আপাতত স্কুলটি ৭ দিনের জন্য ছুটি ঘোষণা করা হয়েছে।
পাবনা সিভিল সার্জন ড. মনিসর চৌধুরী বলেন, করোনা পজিটিভের বিষয়টি তিনি শুনেছেন। তবে অফিসিয়ালি তাদের কাছে কোনো রিপোর্ট নেই।
আমিন ইসলাম জুয়েল/এফএ/এমএস