দিনাজপুরে কোভিডের মেয়াদোত্তীর্ণ সোয়াব-টাং ডিপ্রেসর স্টিক
দিনাজপুরের একটি হাসপাতালে কোভিড পরীক্ষায় মেয়াদোত্তীর্ণ সোয়াব ও টাং ডিপ্রেসর স্টিক ব্যবহারের অভিযোগ পাওয়া গেছে। এদিকে কীটের পলিপ্যাকে এক ও ভিতরের কাঠি-কটনে আরেক তারিখ নিয়ে বিভ্রান্তিকর অবস্থায় পড়েছে স্বাস্থ্য বিভাগ।
করোনা টেস্টে নমুনা নেওয়ার সময় দিনাজপুরের এম আব্দুর রহিম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বুথে তারিখ ও মেয়াদোত্তীর্ণ সোয়াব ও টাং ডিপ্রেসর স্টিক দেখা যায়।
মঙ্গলবার (২৫ জানুয়ারি) সকলে শুরু হওয়া কোভিড-১৯ পরীক্ষার কাজে এ সোয়াব ও টাং ডিপ্রেসর স্টিক ব্যবহার করার পূর্ব মুহূর্তে টিকা দিতে যাওয়া বেসরকারি ক্লিনিকের এক কর্মকর্তার দৃষ্টিতে বিষয়টি ধরা পড়ে।
এফবিএবির প্রোগ্রাম সমন্বয়কারী শাহিনুর ইসলাম (৩৫) জানান, করোনা টেস্টের জন্য তার নমুনা যে সোয়াজ ও টাং স্টিকে দেওয়া হয় তার মেয়াদ গত বছরের অক্টোবর মাসে শেষ হয়ে গেছে। নমুনা নেওয়ার সময় তিনি মেয়াদোত্তীর্ণ সোয়াব ও টাং ডিপ্রেসর স্টিক কেন ব্যবহার করা হচ্ছে তা জানতে চান। এ সময় দায়িত্বরতরা এ ব্যাপারে অফিসে অভিযোগ করতে বলেন।
এ ব্যাপারে হাসপাতালের ডা. আরাফাত হোসেন জানান, গত সপ্তাহে রংপুর সিভিল সার্জন অফিসের মাধ্যমে এম আব্দুর রহিম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে তিন হাজার করোনা পরীক্ষার কীট এসেছিল। যেগুলো মেয়াদ উত্তীর্ণ ছিল। সেগুলো আমরা ফেরতও পাঠিয়েছি। কীটগুলো চেক করার সময় হয়তো ভুলবশত কিছু থেকে যেতে পারে।
এ ব্যাপারে জানতে সিভিল সার্জন ডা. এ এইচ এম বোরহান উল সিদ্দিকী জানান, টা কোনো সমস্যা নয়। আমাদের মেডিসিন ঠিক আছে। নমুনা শুধু কটন দিয়েও সংগ্রহ করা যেতে পারে। মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বুথে যে কীটগুলো পাঠিয়েছিলাম সেগুলো ফেরত নিয়ে এসেছি। একই সঙ্গে সোমবার যে পাঁচ হাজার নতুন কীট পাওয়া গেছে তাও এখন মজুর রয়েছে।
এমদাদুল হক মিলন/আরএইচ/এমএস