ঠাকুরগাঁওয়ে ছাত্রলীগের দুই গ্রুপে সংঘর্ষ, আহত ৪

জেলা প্রতিনিধি
জেলা প্রতিনিধি জেলা প্রতিনিধি ঠাকুরগাঁও
প্রকাশিত: ০৫:৫৫ পিএম, ২৭ ফেব্রুয়ারি ২০২২
ঠাকুরগাঁওয়ে ছাত্রলীগের সংঘর্ষে আহতদের মধ্যে দুইজন

ঠাকুরগাঁওয়ের রুহিয়া থানায় ছাত্রলীগের দুই গ্রুপের সংঘর্ষে অন্তত চারজন আহত হয়েছেন। তারা শহরের একটি প্রাইভেট ক্লিনিকে চিকিৎসাধীন। এদের মধ্যে গুরুতর একজনকে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠিয়েছেন চিকিৎসক।

শনিবার (২৬ ফেব্রুয়ারি) দিবাগত রাত ২টার দিকে রুহিয়া চৌরাস্তায় এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।

জানা যায়, গত বৃহস্পতিবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) ছাত্রলীগের রুহিয়া থানা আহ্বায়ক আরিফ হোসেন ছয়টি ইউনিয়নে আংশিক কমিটি অনুমোদন দেন। এই কমিটিতে যারা পদ পাননি তারা বিক্ষুব্ধ হয়ে কমিটিকে অবৈধ ঘোষণা করেন। এ নিয়ে দুই গ্রুপের মধ্যে উত্তেজনা ছড়ায়।

এরপর শনিবার (২৬ ফেব্রুয়ারি) সকালে থানার ২০নং রুহিয়া ইউনিয়নের সভাপতি মো. রাব্বি ফেসবুকে নিজের পদত্যাগের বিষয়ে স্ট্যাটাস দেন। পরবর্তীতে রাত দুইটায় ছাত্রলীগ নেতা হেলাল উদ্দীন ও সবুজ ইসলাম রুহিয়া চৌরাস্তায় এলে পদপ্রাপ্তদের কয়েকজন অভিযোগ করেন যে, তাদের ইন্ধনের কারণে রাব্বি পদত্যাগের ওই স্ট্যাটাস দিয়েছেন। এ নিয়ে উভয় গ্রুপের মধ্যে বাকবিতণ্ডার একপর্যায়ে হাতাহাতি ও দুই গ্রুপের সংঘর্ষ বাধে।

এ সংঘর্ষে কমিটির পদধারী হযরত আলী এবং পদবঞ্চিত মানিক ইসলাম, রবিউর ইসলাম ও মিঠুন গুরুতর জখম হন। পরে স্থানীয়রা তাদের উদ্ধার করে শহরের সেবা ক্লিনিকে ভর্তি করান।

এ বিষয়ে রুহিয়া থানা ছাত্রলীগের আহ্বায়ক আরিফ হোসেনের কাছে জানতে মুঠোফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে তার ফোন বন্ধ পাওয়া যায়।

জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক হিমুন সরকার বলেন, রুহিয়া থানায় যে ছয়টি কমিটি অনুমোদন দেওয়া হয়েছে তাতে আমাদের কোনো লিখিত অনুমতি নেই। তবে জেলা ছাত্রলীগ সভাপতির মৌখিক ইন্ধন রয়েছে। তারা ব্যক্তিগতভাবে সভাপতির সঙ্গে এ বিষয়ে যোগাযোগ করে আসছিল। যেহেতু আমাদের কোনো লিখিত অনুমোদন নেই সেহেতু কমিটিগুলো অবৈধ।

তিনি আরও বলেন, ছাত্রলীগের মধ্যে যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে তা অনাকাঙ্ক্ষিত। আমরা তদন্ত করে দোষীদের বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেবো।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে ঠাকুরগাঁও জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি আজহারুল ইসলাম বলেন, আমরা চার মাস আগে লিখিতভাবে জানিয়েছি যে, জেলা ছাত্রলীগের অনুমতি ছাড়া যেন কোনো কমিটি ঘোষণা করা না হয়। আমরা লিখিত কাগজে বিশ্বাসী। এছাড়া ইন্ধনের বিষয়টি তিনি অস্বীকার করেন।

রুহিয়া থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মো. শহিদুর রহমান বলেন, সংঘর্ষের বিষয়ে শুনেছি। লিখিত অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

তানভীর হাসান তানু/এমআরআর/জেআইএম

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, ধর্ম, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।