যত্রতত্র গাড়ি পার্কিংয়ে যানজট, ভোগান্তিতে কুয়াকাটার পর্যটকরা
সাপ্তাহিক ছুটির দিনে পর্যটকের পদচারণায় মুখর থাকে দেশের অন্যতম বিনোদন কেন্দ্র কুয়াকাটা। তবে পর্যটকদের বহনকারী বাস, মাইক্রো, মোটরসাইকেলসহ বিভিন্ন যানবাহনের কারণে লম্বা যানজটের সৃষ্টি হচ্ছে কুয়াকাটা জিরো পয়েন্ট, চৌরাস্তাসহ আশপাশের সড়কগুলোতে।
শুক্রবার (১১ মার্চ) বিকেল ৫টা থেকে সন্ধ্যা ৭টা পর্যন্ত লম্বা এ যানজটের শিকার হন শতশত পর্যটক। শুধু পর্যটকই নয় স্থানীয় ব্যবসায়ী, ভ্যানচালকরাও ছিলেন বিপাকে।
পর্যটক ও স্থানীয়রা যানজটের প্রধান কারণ হিসেবে যানবাহনের যত্রতত্র পার্কিংকে দায়ী করছেন। কুয়াকাটা-পটুয়াখালী মহাসড়কের দু’পাশে পার্কিং করে রাখা বাসগুলোর কারণে এই যানজটের সৃষ্টি হয় বলে জানান তারা।

স্থানীয় ব্যবসায়ী গণেশ চন্দ্র বলেন, আমি দোকান থেকে বের হয়ে বাসায় যাওয়ার জন্য ৩০ মিনিট দাঁড়িয়ে আছি কিন্তু আমার বাসায় যেতে সময় লাগে পাঁচ মিনিট। চৌরাস্তায় গাড়িগুলো যার যেমন মন চায় তেমন করে রাখার কারণে এই যানজট হচ্ছে।
কুয়াকাটা ভ্যানচালক মালিক সমিতির সভাপতি মো. মাহলুম জানান, কুয়াকাটা-বরিশালগামী বাসগুলো বড় সমস্যা, তারা গাড়িগুলো চৌরাস্তায় যত্রতত্র রেখে দেয়। এতে যানজটের সৃষ্টি হয় আর এর ফলে সবচেয়ে বেশি সমস্যায় পড়েন পর্যটকরা।

কুয়াকাটায় ঘুরতে আসা পর্যটক সায়েম বলের, ছোট শিশু নিয়ে সৈকতে যাচ্ছিলাম কিন্তু গাড়িগুলো যেভাবে রাখা তাতে খুব বিরক্ত লাগছে। অনেক লম্বা লাইন, এমন যানজট থাকলে অস্বস্তি লাগে।
কুয়াকাটা ট্যুরিস্ট পুলিশ জোনের পরিদর্শক এম মিজানুর রহমান বলেন, আমাদের ট্যুরিস্ট পুলিশের দায়িত্ব সৈকতের নিরাপত্তা দেওয়া। এরপরও আমরা চৌরাস্তায় দুজন সদস্য টহলে রাখি। তবে বিশেষ করে শুক্র ও শনিবার আমরা পুরোপুরি যানজট নিয়ন্ত্রণে রাখতে পারছি না।

তিনি আরও বলেন, ইতোমধ্যে আমরা জেলা পুলিশের কাছে মৌখিকভাবে ট্রাফিক পুলিশের জন্য আবেদন করেছি যাতে অন্তত সপ্তাহে দুদিন এটার দায়িত্ব তারা নেন।
কুয়াকাটা পৌরসভার মেয়র আনোয়ার হাওলাদার বলেন, তুলতলীতে ছয় একর জমির ওপর বাস টার্মিনাল নির্মাণের কাজ চলছে। বালু ভরাট শেষ হয়েছে, বেষ্টনী দেয়ালের কাজ চলছে। আশা করছি, শিগগির এই যানজট নিরসন হবে।
আসাদুজ্জামান মিরাজ/এমআরআর/এএসএম