প্রস্তুত সাভারের ট্যানারিপল্লি

জাগো নিউজ ডেস্ক
জাগো নিউজ ডেস্ক জাগো নিউজ ডেস্ক সাভার (ঢাকা)
প্রকাশিত: ০৫:৫৮ পিএম, ০৭ জুলাই ২০২২

এবারের কোরবানিতে এক কোটি ১০ লাখ পিস চামড়া সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছে সাভারের ট্যানারিপল্লি। এরই মধ্যে ট্যানারি মালিকরা নিজ নিজ প্রতিষ্ঠানে চামড়া সংরক্ষণের জন্য লবণসহ সব ধরনের কেমিক্যাল মজুত করেছেন। বাড়তি নিরাপত্তাসহ সব ধরনের সুবিধা দিতে প্রস্তুত বিসিক।

কোরবানির ঈদ এলেই সাভারের চামড়া শিল্পনগরীর ব্যস্ততা বেড়ে যায় কয়েকগুণ। পুরোনো চামড়া সংরক্ষণ করে নতুন চামড়া সংগ্রহে নামে ট্যানারিগুলো। তাই আগাম প্রস্তুতিও থাকে মালিক-শ্রমিকদের।

সরেজমিনে সাভারের চামড়া শিল্পনগরী ঘুরে দেখা যায়, প্রাথমিক পর্যায়ে চামড়া সংরক্ষণের জন্য ট্যানারিগুলোতে লবণসহ সব ধরনের কেমিক্যাল মজুত করা হয়েছে। কারখানায় বাড়তি কর্মী নিয়োগের প্রক্রিয়াও সম্পন্ন করেছেন মালিকরা। নতুন চামড়া রাখার জন্য ট্যানারিগুলোর প্রতিটি ফ্লোরই খালি করে রাখা হয়েছে। পরিষ্কার করা হয়েছে চারপাশ।

দি কুমিল্লা ট্যানারি লিমিটেডের মালিক খলিলুর রহমান জাগো নিউজকে বলেন, ঈদুল আজহাকে কেন্দ্র করে সব ধরনের প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। তবে এবার লবণসহ প্রতিটি কেমিক্যালের দামই বেড়েছে; যা নিয়ে কিছুটা চিন্তিত।

ওই প্রতিষ্ঠানটির কর্মী রেজাউল মিয়া বলেন, ঈদের দিন বিকেল থেকে শুরু হবে কর্মব্যস্ততা। তাই ছুরি চাকুসহ সব ধরনের যন্ত্রাংশ প্রস্তুত করে রাখা হয়েছে।

শুধু ট্যানারি মালিকরাই নন, কোরবানির ঈদকে ঘিরে ট্যানারি এলাকায় বিসিকও নিয়েছে নানা উদ্যোগ। অবকাঠামো ছাড়াও নিরাপত্তার বিষয়টিতে বেশ জোর দিয়েছে কর্তৃপক্ষ।

jagonews24

বিষয়টি নিয়ে কথা হয় চামড়া শিল্পনগরীর নির্বাহী প্রকৌশলী মাহফুজুর রহমানের সঙ্গে। তিনি জানান, সাভারের ১৬২টি ট্যানারির মধ্যে ১৩৯টিতেই রয়েছে প্রস্তুতি। নিরবচ্ছিন্ন গ্যাস-বিদ্যুৎ সরবরাহসহ সব ধরনের সুবিধা দিতে এরই মধ্যে কাজ শেষ করা হয়েছে। ড্রেন সংস্কার আর ট্রাকের বিশৃঙ্খলা এড়াতে এবার নেওয়া হয়েছে বেশকিছু পদক্ষেপ।

আর বাংলাদেশ ট্যানার্স অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক শাখাওয়াত উল্ল্যাহ বলেন, গতবছর থেকে লক্ষ্যমাত্রা এবার ৫ থেকে ৭ শতাংশ বৃদ্ধি করা হয়েছে। এবার চামড়া সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে এক কোটি ১০ লাখ।

এসময় তিনি চামড়া সংগ্রহের ক্ষেত্রে মৌসুসী ব্যবসায়ীদের সচেতন থাকার আহ্বান জানান। তিনি বলেন, চামড়া কেনার পরপরই যেন লবণ দিয়ে সংরক্ষণ করা হয়। যত দ্রুত সম্ভব চামড়াগুলো যেন ট্যানারিতে পৌঁছানোর ব্যবস্থা করা যায়।

তবে এবারও কেন্দ্রীয় বর্জ্য শোধনাগার (সিইটিপি) প্ল্যান্ট আর ওয়েস্ট ম্যানেজমেন্ট নিয়ে হতাশা কাটছে না স্থানীয়দের। তাদের দাবি, কোরবানি এলেই বিভিন্ন স্থানে জমিয়ে রাখা বর্জ্যের দুর্গন্ধে তাদের টেকা দায় হয়ে যায়।

ক্ষোভ প্রকাশ করে ট্যানারি এলাকার বাসিন্দা শরিফ হাসান বলেন, কোটি কোটি টাকা খরচ হয় সিইটিপি আর বর্জ্য ব্যবস্থাপনার নামে। আসলে টাকা খরচ হলেও বাস্তবে এর সুফল পাচ্ছেন না স্থানীয়রা।

তবে সিইটিপি প্ল্যান্ট ও বর্জ্য ব্যবস্থাপনা নিয়ে বিসিকের কোনো কর্মকর্তা কথা বলতে রাজি হননি।

মাহফুজুর রহমান নিপু/এমআরআর/জিকেএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।