পাঠক নেই ভোলা সরকারি পাঠাগারে
নিজস্ব ভবন, সুন্দর পরিবেশ ও পর্যাপ্ত বই থাকলেও পাঠক নেই ভোলা সরকারি পাঠাগারে। শহর থেকে পাঠাগারের নতুন ভবনটি দূরে হওয়ায় কাঙ্ক্ষিত পাঠক মিলছে না। তবে প্রচার-প্রচারণা ও নতুন নতুন বই আসলে এ সংকট কিছুটা কমবে বলে জানিয়েছেন এখানে আগত পাঠকরা।
সরেজমিনে জানা গেছে, ১৯৮২ সালে একটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে অস্থায়ীভাবে শুরু হয় ভোলা সরকারি গণগ্রন্থাগার। প্রতিষ্ঠার পর থেকে পাঠকের সমাগম ছিল। ২০১০ সালের শেষ দিকে শহর থেকে প্রায় দুই কিলোমিটার দূরে মধ্য চরনোয়াবাদ এলাকায় নিজস্ব ভবনে হস্তান্তর করা হয় গণগ্রন্থাগারটি। এরপর থেকে কমতে থাকবে পাঠক। এক যুগেও সচল হয়ে ওঠেনি।

সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, গ্রন্থাগারে বিভিন্ন ধরনের ৩৪ হাজার বই রয়েছে। এরমধ্যে এক হাজার একটি বই সম্পূর্ণভাবে নষ্ট হয়ে গেছে। প্রতিদিন প্রায় ৪০-৫০ জন এখানে পাঠ করতে আসেন। লোডশেডিংয়ের সময় বিকল্প বিদ্যুৎ ব্যবস্থা না থাকায় প্রচণ্ড গরমের ভোগান্তিতে পড়েন পাঠকরা। গ্রন্থাগারে আটটি পদ থাকলেও মাত্র দুজন দিয়েই চলছে কার্যক্রম।
মো. শাজিদ হাসান নামের এক পাঠক জাগো নিউজকে বলেন, দুই বছর ধরে গণগ্রন্থাগারে নিয়মিত আসি। কিন্তু নতুন কোনো বই পাইনি। এছাড়া পছন্দের বই পাওয়া যায় না পাঠাগারে।

তিনি আরও বলেন, শহর থেকে দূরে হওয়ায় পাঠাগারে আসতে ৪০-৫০ টাকা রিকশা ভাড়া গুনতে হয়। যা অনেক পাঠকের পক্ষে খরচ করা সম্ভব নয়।

মো. জাকীর হোসেন নামের আরেক পাঠক বলেন, গণগ্রন্থাগারের পরিবেশ সুন্দর হলেও কোনো প্রচার-প্রচারণা নেই। গত এক মাস আগে জেনে এখানে আসি। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে প্রচার-প্রচারণা করলে পাঠক বাড়তে পারে।
গ্রন্থাগারের অফিস সহকারী মো. মোস্তাফিজুর রহমান জানান, জনবল সংকটে নিজেকে অনেক কাজ করতে হয়। ফলে জরুরি প্রয়োজনেও কোনো ছুটি পাই না। সারাদিন পাঠাগারে কাজ করে সন্ধ্যায় ফের নিরাপত্তার কাজও করতে হয়।

ভোলা সরকারি গণগ্রন্থাগারের পাঠ কক্ষ সহকারী মো. জালাল হোসেন জাগো নিউজকে বলেন, নানাবিধ সমস্যায় গ্রন্থাগারে পাঠক সংখ্যা কম। সোলার প্যানেলের মাধ্যমে বিদ্যুৎসেবা দেওয়া হলেও দীর্ঘদিন সেটি নষ্ট হয়ে গেছে। আমাদের সংকটের কথা ঊর্ধ্বতনকে জানানো হয়েছে।
আরএইচ/এসজে/জেআইএম