হবিগঞ্জে নৌকাডুবি: মেয়ের বিয়ে দেখে যাওয়া হলো না জরিনার

জেলা প্রতিনিধি
জেলা প্রতিনিধি জেলা প্রতিনিধি হবিগঞ্জ
প্রকাশিত: ০৫:৫৩ পিএম, ১৪ জুলাই ২০২২

আর কয়দিন বাদেই ছিল মেয়ের বিয়ে। স্বজনদের দাওয়াত দিতেই বেরিয়েছিলেন। কিন্তু বিধিবাম। দাওয়াত দিয়ে ফেরার পথে নৌকাডুবিতে মারা যান কনের মা জরিনা বেগমসহ চারজন। বিয়ের আনন্দের পরিবর্তে পরিবারটিতে এখন চলছে শোকের মাতম। তাদের শোকে মুহ্যমান হবিগঞ্জ সদর উপজেলার শিকারপুর গ্রাম। বৃহস্পতিবার (১৪ জুলাই) দুপুরে জানাজা শেষে নিহতদের দাফন করা হয়।

তেঘরিয়া ইউপি চেয়ারম্যান এম এ মোতালিব জানান, এক সপ্তাহ পর আগামী ২১ জুলাই (বৃহস্পতিবার) হবিগঞ্জ সদর উপজেলার শিকারপুর গ্রামের আব্দুল হামিদের মেয়ের বিয়ের দিন ধার্য ছিল। তার স্ত্রী জরিনা বেগম কয়েকজন স্বজনকে নিয়ে বাহুবল উপজেলার স্নানঘাট গ্রামে আত্মীয়দের দাওয়াত দিতে গিয়েছিলেন। নৌকাযোগে ফেরার পথে বুধবার রাতে হাওরে নৌকাডুবে চারজন নিহত হন।

শিকারপুর গ্রামের বাসিন্দা সোহেল মিয়া জানান, আব্দুল হামিদের পাঁচ মেয়ে। এর মধ্যে ফাতেমা বেগম (২১) সবার বড়। ২১ জুলাই তার বিয়ের দিন ধার্য ছিল। শায়েস্তাগঞ্জে তার বিয়ের কথা পাকাপাকি হয়। বিয়ের সব আয়োজনও প্রায় শেষ। দাওয়াত দেওয়াও শেষপর্যায়ে ছিল। বুধবার স্নানঘাটে আত্মীয়দের দাওয়াত দিয়ে ফেরার সময় বাহুবলের রউয়াইল হাওরে নৌকা ডুবে একই পরিবারের চারজন মারা যান

নিহতরা হলেন- আব্দুল হামিদের স্ত্রী জরিনা বেগম, তার চাচি শাশুড়ি সরাফত উল্লাহর স্ত্রী নেলি বেগম ওরফে চানবানু, ননদ রওশন উল্লাহর স্ত্রী হুরবানু ও কবির মিয়ার স্ত্রী আয়াতুন্নেছা।

এর আগে বুধবার রাতে একটি ইঞ্জিনচালিত নৌকা স্নানঘাট থেকে সদর উপজেলার শিকারপুর গ্রামে যাচ্ছিল। নৌকাটি রউয়াইল হাওরে পৌঁছলে হঠাৎ ডুবে যায়। এতে হাওরের পানিতে তলিয়ে চারজন নারী মারা যান।

সৈয়দ এখলাছুর রহমান খোকন/এমআরআর/জেআইএম

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, ধর্ম, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।