এবার মোংলায় সন্ধান মিললো কালো ডিম পাড়া হাঁসের

উপজেলা প্রতিনিধি উপজেলা প্রতিনিধি মোংলা (বাগেরহাট)
প্রকাশিত: ১০:০৯ পিএম, ২৪ সেপ্টেম্বর ২০২২

এবার বাগেরহাটের মোংলায় কালো ডিম পাড়া হাঁসের সন্ধান পাওয়া গেছে। গত দুই সপ্তাহ ধরে উপজেলার মিঠাখালী ইউনিয়নের ৮ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা নাজমা বেগমের খাকি ক্যাম্পবেল জাতের একটি হাঁস কালো ডিম দিচ্ছে। শনিবার (২৪ সেপ্টেম্বর) সকালেও হাঁসের খোপ থেকে একটি কালো ডিম পেয়েছেন ওই গৃহিনী।

জানা গেছে, দিনমজুর জুলফিকার গাজীর স্ত্রী নাজমা বেগম তিন মাস ধরে হাঁস লালনপালন করছেন। ওই সময় একটি এনজিও থেকে তাকে ২৫টি খাকি ক্যাম্পবেল হাঁস দেওয়া হয়। সেই সঙ্গে তিনি আরও ১০টি হাঁস কিনে পুষতে শুরু করেন। গত ১৪/১৫ দিন ধরে কয়েকটি হাঁস ডিম দিতে শুরু করে। এর মধ্যে একটি হাঁস কালো ডিম দিচ্ছে।

নাজমা বেগম জানান, শনিবার দুপুরে দুইটি কালো ডিম রান্না করে খেয়েছেন তারা। আর বিকেলে একটি কালো ডিম ভেজে খান তারা। তবে ডিম কালো হলেও কুসুম অন্যান্য ডিমের মতোই। কুসুমের রঙে কোনো ভিন্নতা নেই।

তিনি আরও জানান, ক্যাম্পবেল হাঁস বেশিরভাগই নীলচে রঙের ডিম দেয়। সাদা ডিম দেয় না বললেই চলে। তাই ডিম যেহেতু নীল, সাদা ও লাল বর্ণের হয়ে থাকে সেক্ষেত্রে কালোও হয়ে থাকতে পারে। তাই কালো ডিম কেন দিলো তা নিয়ে তিনি তেমন কোনো চিন্তা করেননি। তিনি এটাকে স্বাভাবিকভাবেই নিয়েছেন।

তবে নাজমা বেগমের কাছ থেকে যারা ডিম কিনেছেন তাদের মাধ্যমেই কালো ডিম পাড়ার বিষয়টি শনিবার বিকেলে জানাজানি হয়। এরপর লোকজন সেই কালো ডিম দেখার জন্য ওই বাড়িতে ভিড় করেন। সেখানে উৎসুক লোকজনের সামনেই কালো একটি ডিম ভেঙে ভেজে খান ওই পরিবারের সদস্যরা।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা অমল কুমার সরকার বলেন, হাঁসের কালো ডিম কেন হয়, সেটা আমার জানা নেই।

এর আগে ভোলার চরফ্যাশন উপজেলার জিন্নাগড় ইউনিয়নের ৪ নম্বর ওয়ার্ডের দাসকান্দি গ্রামে কালো রঙের ডিম দেওয়া হাঁসের সন্ধান পাওয়া যায়। পরে ঘটনাটি জেলাজুড়ে চাঞ্চল্যের সৃষ্টি করে। এ নিয়ে বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রতিবেদনও প্রকাশিত হয়।

আবু হোসাইন সুমন/এমআরআর

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।