কুষ্টিয়ায় খালি প্লাস্টিক বোতলের বদলে মিলছে গাছের চারা

জেলা প্রতিনিধি
জেলা প্রতিনিধি জেলা প্রতিনিধি কুষ্টিয়া
প্রকাশিত: ০৫:১৯ পিএম, ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২২

‘খালি প্লাস্টিক বোতল জমা দিন, গাছের চারা নিন’ এই শ্লোগানকে সামনে রেখে পরিবেশ বাঁচাতে ও পাখির নিরাপদ আশ্রয়স্থল সৃষ্টিতে ভিন্নধর্মী এক কর্মসূচি হাতে নিয়েছে অ্যাকশন এইড বাংলাদেশ ও গ্লোবাল প্ল্যাটফর্ম বাংলাদেশ। বিদ্যালয় প্রাঙ্গণে শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের নিয়ে সমাবেশের আয়োজনে এ কর্মসূচি বাস্তবায়নে সহযোগিতা করছে এক্টিভিস্তা কুষ্টিয়া।

এই স্বেচ্ছাসেবী পরিবেশবাদী সংগঠনটি কাজ করে যাচ্ছে শিক্ষার্থীদের মধ্যে সচেতনতা তৈরিতে। সংগঠনটির সদস্যরা বুধবার (২৮ সেপ্টেম্বর) দুপুর ১২টার দিকে কুষ্টিয়ার মিরপুর উপজেলার নওপাড়া নিম্ন মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে সমাবেশের মাধ্যমে প্লাস্টিক সামগ্রীর কারণে পরিবেশ বিপর্যয়ের বিভিন্ন দিক নিয়ে আলোচনা করেন এবং এই বিপর্যয় রোধে বৃক্ষ রোপণের উপযোগিতা তুলে ধরেন। পরে শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে প্লাস্টিক বোতল জমা নিয়ে উপযুক্ত স্থানে বৃক্ষ রোপণের জন্য গাছের চারা বিতরণ করেন।

এরই মধ্যে এই উদ্যোগ বেশ সাড়া ফেলেছে এবং খালি প্লাস্টিক বোতল জমা দিয়ে গাছের চারা নিচ্ছেন শিক্ষার্থী ও স্থানীয় বাসিন্দারা। বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা জানান, তারা বাড়ি থেকে পরিত্যক্ত খালি প্লাস্টিক বোতল এনে জমা দিয়েছে। এরপর নিজেদের বাড়ির আঙিনায় রোপণের জন্য চারা সংগ্রহ করেছে।

সংগঠনটির সদস্য আব্দুর রাজ্জাক রাজু বলেন, ব্যবহারের পর মানুষ খালি প্লাস্টিক বোতল যত্রতত্র ছুঁড়ে ফেলে। সেই বোতলগুলো জমির উর্বরতা নষ্ট করে। মাটির নিচে গাছের শিকড় বিস্তারে বাধা দিয়ে সেগুলোকে নষ্ট করে। শত শত বছরেও সেগুলো পচে না। একইভাবে সেগুলো ড্রেনে জমে জলাবদ্ধতার কারণ হয়। আজকের সমাবেশ থেকে শিক্ষার্থীরা যা শিখেছে,পরিবেশ রক্ষায় তারা যদি সেগুলো প্রাত্যহিক জীবনে প্রয়োগ করে তাহলেই আমাদের সার্থকতা।

এসময় সমাবেশে অন্যদের মধ্যে বিদ্যালয়টির প্রধান শিক্ষক আব্দুল মতিন দুলাল,পরিবেশ সুরক্ষায় কাজ করা সংগঠনটির সদস্য আব্দুর রাজ্জাক রাজু, তানিয়া সুলতানা নীলা, পলাশ কুমার দাসসহ এক্টিভিস্তা কুষ্টিয়ার অন্য সদস্যসহ বিদ্যালয়টির শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা উপস্থিত ছিলেন।

আল-মামুন সাগর/এমআরআর/এএসএম

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।