আতিফ আসাদ পেলেন জয় বাংলা ইয়ুথ অ্যাওয়ার্ড

জেলা প্রতিনিধি
জেলা প্রতিনিধি জেলা প্রতিনিধি জামালপুর
প্রকাশিত: ১০:৫১ এএম, ১৩ নভেম্বর ২০২২

‘জয় বাংলা ইয়ুথ অ্যাওয়ার্ড’ পেলেন জামালপুরের সরিষাবাড়ী উপজেলার মিলন স্মৃতি পাঠাগারের উদ্যোক্তা আসাদুজ্জামান আতিফ আসাদ (২১)।

শনিবার (১২ নভেম্বর) বিকেলে সাভারের শেখ হাসিনা জাতীয় যুব উন্নয়ন ইনস্টিটিউটে সেন্টার ফর রিসার্চ অ্যান্ড ইনফরমেশন (সি আর আই) আয়োজিত অনুষ্ঠানে তাকে এ অ্যাওয়ার্ড দেওয়া হয়।

আসাদ সরিষাবাড়ী উপজেলার ডোয়াইল ইউনিয়ন হাসড়া মাজালিয়া গ্রামের আফজাল হোসেন ও জয়নব দম্পতির ছোট ছেলে। তিনি সরকারি আশেক মাহমুদ কলেজের উদ্ভিদবিজ্ঞান বিভাগের (সম্মান) দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী।

জানা গেছে, সারাদেশ থেকে আবেদন করা দেশ গঠনে এগিয়ে আসা ৬০০টিরও বেশি সংগঠন থেকে যাচাই-বাছাই শেষে শীর্ষ ১০ তরুণ সংগঠনের হাতে জয় বাংলা ইয়ুথ অ্যাওয়ার্ড তুলে দেওয়া হয়। এর আগে ইয়াং বাংলার পক্ষ থেকে ঘোষণা করা হয় এ অ্যাওয়ার্ডের জন্য মনোনীত শীর্ষ ২৮ সংগঠনের নাম।

jagonews24

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে পুরস্কার দেন প্রধানমন্ত্রীর তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিষয়ক উপদেষ্টা এবং সিআরআই’র চেয়ারপারসন সজীব ওয়াজেদ জয়।

এসময় সজীব ওয়াজেদ জয় বলেন, ‘আপনারা যে নিঃস্বার্থভাবে মানুষের জন্য, দেশের সেবা করছেন এটা আমাদের সব নাগরিকের এবং বিশ্বের প্রতি একটি উদাহরণ। আপনাদের মতো তরুণ তরুণীরা নিজের প্রচেষ্টায়, কারও কাছে হাত না পেতে, নিজের মেধায়, নিজের চিন্তাধারায়, নিজের মতো অল্প হোক, বেশি হোক কাজ শুরু করে দিচ্ছেন। আপনারা কারও জন্য বসে নেই। এটাই হচ্ছে আমাদের চেতনা, আমাদের বিশ্বাস। আমার এই বিশ্বাসই ছিল যে, আমরা নিজেদের সমস্যা নিজেরাই সমাধান করতে পারি

আতিফ আসাদ জাগো নিউজকে জানান, তিনি একজন দিনমজুরের সন্তান। তিনি নিজেও দিনমজুরি করে গ্রামে গ্রামে পাঠাগার গড়েছেন। যেখানে গ্রামের হতদরিদ্র ছাত্র-ছাত্রীরা বই পড়ে জ্ঞানের আলোয় আলোকিত হচ্ছে। জয় বাংলা ইয়ুথ অ্যাওয়ার্ড তরুণদের সবচেয়ে বড় একটি প্ল্যাটফর্ম, তিনি এ অ্যাওয়ার্ড পেয়ে অনেক আনন্দিত। এ পুরস্কার অর্জনের মধ্য দিয়ে তিনি পাঠাগারের কাজ করতে অনেক অনুপ্রেরণা পাবেন বলেও আশা করছেন।

মো. নাসিম উদ্দিন/জেএস/এমএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।