তিস্তা মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়নের দাবিতে মহাসমাবেশ

জেলা প্রতিনিধি
জেলা প্রতিনিধি জেলা প্রতিনিধি লালমনিরহাট
প্রকাশিত: ০৮:৪০ এএম, ২৮ নভেম্বর ২০২২

লালমনিরহাটে বিজ্ঞানসম্মতভাবে ও সমন্বিত প্রকল্পে তিস্তা মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়নের দাবিতে মহাসমাবেশ করেছে তিস্তা বাঁচাও, নদী বাঁচাও সংগ্রাম পরিষদ।

রোববার (২৭ নভেম্বর) সন্ধ্যায় আদিতমারী উপজেলার মহিষখোচা স্কুল মাঠে সমাবেশ থেকে দ্রুত মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়নের তাগিদ দেন বক্তারা।

এ সময় অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি বক্তব্যে তিস্তা বাঁচাও পরিষদের সভাপতি নজরুল ইসলাম হক্কানি বলেন, তিস্তা পাড়ের কৃষকরা দেশকে টিকিয়ে রেখেছে ফসল উৎপাদন করে। আজ সেই তিস্তা পাড়ের কৃষক অবহেলিত। আমি নিজেই তিস্তা পাড়ের মানুষ আমার বাড়ি ভেঙেছে অনেকবার। আমি যখন ছোট ছিলাম তখন কোনো বাঁধ ছিল না। তখন নদী ভাঙনও ছিল না। এখন প্রতিবছর তিস্তার ভাঙনে তলিয়ে যায় পাঁচ লাখ মানুষের ঘরবাড়ি। অন্যদিকে জেগে উঠে নতুন চরাঞ্চল। এ বছর জেগে ওঠেছে ৮০টি চর।

তিস্তা চুক্তির জন্য প্রতিবেশী দেশ ভারতে গেলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। কিন্তু মমতা ব্যানার্জির কারণে শেষ পর্যন্ত এ চুক্তি হয়নি। আমরা তিস্তা অঞ্চলের মানুষ অবহেলিতই থেকে গেলাম। তারপর চীনের সঙ্গে প্রাথমিক অবস্থায় সাড়ে আট হাজার কোটি টাকার চুক্তি হল। মহিপুর থেকে তিস্তা ব্রিজ পর্যন্ত খনন ও শিল্প কারখানা গড়ে তোলার। কিন্তু নদী খননের জন্য তা এখনও পর্যন্ত বাস্তবায়ন হলো না।

jagonews24

তিস্তা নদীর মহাপরিকল্পনার বাস্তবায়ন আমাদের সবার দাবি। যারা বাঁধা দিবে তাদের বিরুদ্ধে আমরা তিস্তা পাড়ের মানুষ ঐক্যবদ্ধ হবো, লড়াই করবো। আমরা চাই তিস্তার মহা পরিকল্পনা বাস্তবায়ন হোক। তাহলেই তিস্তা পাড়ের মানুষের দুঃখ দুর্দশা দিন শেষ হবে।

পরিষদের সাধারণ সম্পাদক সফিয়ার রহমান বলেন, আমি নিজেই একজন নদী ভাঙা মানুষ। আমি জানি নদী ভাঙনের দুর্দশা কেমন।

আমরা ২০১৫ সাল থেকে তিস্তা নদী নিয়ে আন্দোলন করছি। এই নদীর জমিজমা উদ্ধার করতে পারলে হাজার হাজার জমি বের হবে। কল কারখানা গড়ে উঠবে। মানুষের কর্মসংস্থান হবে। তাই দ্রুত মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়ন করতে হবে। তা হলে আমাদের আর সাহায্য করতে হবেনা। আমরা নিজেরাই ঘুরে দাঁড়াতে পারবো।

তিস্তা বাঁচাও নদী বাঁচাও সংগ্রাম পরিষদ আদিতমারী উপজেলার আহ্বায়ক ইঞ্জিনিয়ার দেলোয়ার হোসেনের সভাপতিত্বে এতে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন লালমনিরহাট জেলা শাখার সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা শফিকুল ইসলাম কানু। এছাড়া আরও বক্তব্য রাখেন মহিষখোচা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মোসাদ্দেক হোসেন চৌধুরী, খুনিয়াগাছ ইউনিয়নের চেয়ারম্যান খায়রুজ্জামান মণ্ডল বাদল, মহিষখোচা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক আব্দুস সোবহান প্রমুখ।

রবিউল হাসান/জেএস/জিকেএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।