পঞ্চগড়ে সরকারি নিয়োগ পরীক্ষায় প্রক্সি, চারজন কারাগারে

জেলা প্রতিনিধি
জেলা প্রতিনিধি জেলা প্রতিনিধি পঞ্চগড়
প্রকাশিত: ০৫:৪৬ পিএম, ২৯ নভেম্বর ২০২২
গ্রেফতার চারজনকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠায় পুলিশ

পঞ্চগড়ে পরিবার পরিকল্পনা বিভাগে নিয়োগ পরীক্ষায় প্রক্সি দেওয়ার অপরাধে চারজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। মঙ্গলবার (২৯ নভেম্বর) বিকেলে আদালতের মাধ্যমে তাদের জেলা কারাগারে পাঠানো হয়।

গ্রেফতারদের মধ্যে দুই পরীক্ষার্থী আটোয়ারী উপজেলার তেলীপাড়া গ্রামের ইয়াসমিন (২১), নলপুখরি গ্রামের মৌসুমি আক্তার (২৮) এবং তাদের সহযোগী সাইদুর রহমান (২৪) ও মাসুদ রয়েল (২৮)।

পুলিশ জানায়, শুক্রবার পঞ্চগড়ে পরিবার পরিকল্পনা বিভাগে বিভিন্ন পদে নিয়োগের জন্য লিখিত পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। এতে উত্তীর্ণ হওয়া ইয়াসমিন ও মৌসুমি আক্তার সোমবার জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে মৌখিক পরীক্ষায় অংশ নেন। কিন্তু মৌখিক পরীক্ষায় তাদের বিভিন্ন প্রশ্ন-উত্তরে ভাইভা বোর্ডের সদস্যদের সন্দেহ হয়।

এক পর্যায়ে তারা প্রক্সির মাধ্যমে লিখিত পরীক্ষায় পাসের কথা স্বীকার করেন। ইয়াসমিন ধাক্কামারা এলাকার দুলাল হোসেন নামে এক ব্যক্তির সঙ্গে ১২ লাখ টাকা চুক্তিতে লিখিত পরীক্ষায় উত্তীর্ণ ও চাকরি দেওয়ার আশ্বাসের কথাও স্বীকার করেন। পরে ওই দুই পরীক্ষার্থী, তাদের দুই সহযোগী এবং দুলাল হোসেনের নামে সোমবার রাতে মামলা হয়। ওই মামলায় চারজনকে গ্রেফতার দেখানো হয়। তবে দুলাল হোসেনকে গ্রেফতারের চেষ্টা করছে পুলিশ।

জেলা পরিবার পরিকল্পনা বিভাগের উপ পরিচালক বিপ্লব বড়ুয়া জাগো নিউজকে বলেন, ভাইভা বোর্ডের প্রধান ও জেলা প্রশাসক জহুরুল ইসলাম সন্দেহবশত ইয়াসমিন ও মৌসুমি আক্তারকে জিজ্ঞাসাবাদ করেন। এক পর্যায়ে একজন ১২ লাখ টাকার বিনিময়ে প্রক্সির মাধ্যমে লিখিত পরীক্ষায় পাসের কথা স্বীকার করেন।

সদর থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল লতিফ জাগো নিউজকে বলেন, জেলা প্রশাসন কার্যালয় থেকে চারজনকে আমাদের কাছে সোপর্দ করা হয়। রাতে মামলার পর নামসহ এজাহার দেওয়া পাঁচ আসামির মধ্যে ওই চারজনকে গ্রেফতার দেখানো হয়। আদালতের মাধ্যমে তাদের জেল হাজাতে পাঠানোর হয়েছে। বিষয়টি তদন্তসহ আসামি দুলাল হোসেনকে গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।

সফিকুল আলম/এসজে/এএসএম

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।