সুনামগঞ্জ জেলা পরিষদ নির্বাচন
ফল বাতিল চেয়ে করা মামলার চার বিবাদীর বিরুদ্ধে সমন
![ফল বাতিল চেয়ে করা মামলার চার বিবাদীর বিরুদ্ধে সমন](https://cdn.jagonews24.com/media/imgAllNew/BG/2019November/haturi-20221130184218.jpg)
সুনামগঞ্জ জেলা পরিষদ নির্বাচনের পরাজিত আওয়ামী লীগ সমর্থিত প্রার্থী অ্যাডভোকেট খায়রুল কবির রুমেন ভোটে কারচুপির অভিযোগ এনে নির্বাচনের ফলাফল বাতিল চেয়ে আদালতে মামলা করেছেন। মামলায় বিবাদী করা হয়েছে নির্বাচিত জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান নুরুল হুদা মুকুটসহ চারজনকে।
নির্বাচনী ট্রাইব্যুনাল সুনামগঞ্জের যুগ্ম জেলা জজ আদালতের বিচারক কাকন দে বুধবার (৩০ নভেম্বর) দুপুরে মামলাটি গ্রহণ করে চার বিবাদীর বিরুদ্ধে সমন জারি করেছেন।
জানা যায়, জেলা পরিষদ নির্বাচনের পরাজিত চেয়ারম্যান প্রার্থী মামলার বাদী খায়রুল কবির রুমেন নির্বাচনী গেজেট প্রকাশের একমাসের মধ্যে গত ২৩ নভেম্বর এই মামলা করেছিলেন। মামলায় বিবাদী করা হয় চারজনকে। তারা হলেন, জেলা পরিষদের নবনির্বাচিত চেয়ারম্যান নুরুল হুদা মুকুট, সুনামগঞ্জ জেলা রিটার্নিং অফিসার, জগন্নাথপুর উপজেলা প্রিজাইডিং অফিসার এবং নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের সচিব।
মামলায় বাদী উল্লেখ করেন, গত মেয়াদে মামলার বাদী নুরুল হুদা মুকুট জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান থাকায় অন্য বিবাদীদের সঙ্গে তার সখ্যতা ছিল। গেলো ১৭ অক্টোবর ভোটের দিন জগন্নাথপুর কেন্দ্রের ব্যালট পেপার অতি গোপনে হেরফের করে আট ভোট বেশি দেখিয়ে নুরুল হুদা মুকুটকে ৬১২ ভোটে বিজয়ী ঘোষণা করা হয়েছে। এ ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে জগন্নাথপুর কেন্দ্রের ভোট পুনঃগণনার দাবি করেন রুমেন। ওই ভোট পুনঃগণনার হলে তিনিই (রুমেন) বিজয়ী হবেন বলেও দাবি করেন বাদী।
এ প্রসঙ্গে নুরুল হুদা মুকুটের আইনজীবী অ্যাডভোকেট আজাদুল ইসলাম রতন বলেন, বাদী নির্বাচনী ট্রাইব্যুনালে মামলা করেছেন। বুধবার আদালতে মামলার গ্রহণযোগ্যতা শুনানি ছিল। শুনানির দিনে আদালত মামলাটি গ্রহণ করে জেলা পরিষদ চেয়ারম্যানসহ চারজনের বিরুদ্ধে সমন জারি করেছেন। এর আগেও বাদী রিটার্নিং অফিসারের কাছে একই বিষয়ে মামলা করেন এবং হাইকোর্টে তা বাতিল হয়েছে। আশা করি, এখানেও মামলাটি বাতিল হবে।
এই আইনজীবী আরও বলেন, জেলা পরিষদে ভোট হয়েছে ইভিএমে। ইভিএমমের ভোটগ্রহণের গ্রহণযোগ্যতা পৃথিবীব্যাপী স্বীকৃত।
লিপসন আহমেদ/এমআরআর/এএসএম