দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা পঞ্চগড়ে ১১.৯ ডিগ্রি

জেলা প্রতিনিধি
জেলা প্রতিনিধি জেলা প্রতিনিধি পঞ্চগড়
প্রকাশিত: ১২:০৮ পিএম, ০৬ ডিসেম্বর ২০২২

 

দেশের উত্তরের জেলা পঞ্চগড়ে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১১ দশমিক ৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড হয়েছে।

মঙ্গলবার (৬ ডিসেম্বর) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে তেঁতুলিয়া আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা রাসেল শাহ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

তিনি বলেন, গত দিনের থেকে তাপমাত্রা কমেছে। মঙ্গলবার ভোর ৬টায় ১২ দশমিক ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড হলেও সকাল ৯টায় তাপমাত্রা কমে হয়েছে ১১ দশমিক ৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস। সোমবার রেকর্ড হয়েছিল ১২ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস। তাপমাত্রা আরও কমতে পারে বলেও জানান এ আবহাওয়া কর্মকর্তা।

স্থানীয়রা জানান, শনিবার সন্ধ্যার পর থেকে বেশ ঠান্ডা অনুভূত হচ্ছে। তাপমাত্রা অনেক নিচে নেমে এসেছে। মূলত সকাল ১০টা থেকে বাড়তে থাকে তাপমাত্রা। সন্ধ্যার হলেই শীত পড়ে। কুয়াশাও বাড়ছে। দিন-রাত তাপমাত্রা দুই রকম থাকায় জেলায় বাড়ছে শীতজনিত রোগ। জ্বর, সর্দি, কাশি, শ্বাসকষ্ট, নিউমোনিয়াসহ ঠান্ডাজনিত রোগে হাসপাতালগুলোতে ভিড় করছেন রোগীরা।

জেলা শহরের মসজিদপাড়া মহল্লার ইজিবাইকচালক আনারুল ইসলাম (৪১) বলেন, কয়েক দিন ধরে সন্ধ্যার পর থেকে খুব ঠান্ডা লাগছে। বেশি রাত করে বাইরে থাকা যায় না। তবে রোদের কারণে দিনে অনেক গরম থাকে। কয়েক দিন ধরে বাড়ির সবাই সর্দি ও জ্বরে ভুগছি। তবে হাসপাতাল থেকে ওষুধ খেয়ে জ্বর ছেড়েছে। এখনো সর্দি লেগে আছে।

পঞ্চগড় আধুনিক সদর হাসপাতালের শিশু বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক মো. মনোয়ার হোসেন জাগো নিউজকে বলেন, রাতে শীতের তীব্রতা বাড়লেও বেশ কিছুদিন ধরে দিনে গরম আবহাওয়া থাকছে। ঋতু পরিবর্তনের কারণে শিশু ও বয়স্করা শীতজনিত নানান রোগ আক্রান্ত হচ্ছেন। তাই এ সময় শিশুদের ধুলাবালু এড়িয়ে চলা দরকার। এছাড়া সন্ধ্যার পর কারণ ছাড়া বাইরে না থাকা এবং বাসি ও ঠান্ডা খাবার খাওয়া থেকে বিরত থাকতে হবে।

সফিকুল আলম/এসজে/জিকেএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।