হাসপাতালে রোগীর ওয়ার্ডে ওয়ার্ডে ঘুরছে কুকুর!

জেলা প্রতিনিধি
জেলা প্রতিনিধি জেলা প্রতিনিধি নীলফামারী
প্রকাশিত: ০৬:১১ পিএম, ০৩ জানুয়ারি ২০২৩

হাসপাতালে শয্যার অতিরিক্ত রোগী থাকায় অনেক রোগীর ঠাঁই হয়েছে মেঝেতে। রাতে রোগী ও স্বজনরা যখন গভীর ঘুমে অচেতন তখন হাসপাতালের ভেতরে পুরুষ ওয়ার্ডে কুকুর ঢুকে শুঁকছে তাদের। এমন কয়েকটি ছবি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে ভাইরাল হয়েছে।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, চিত্রটি নীলফামারী জেলারেল হাসপাতালের। তীব্র শীতে ২৫০ শয্যার হাসপাতালটিতে প্রতিদিন বাড়ছে রোগীর সংখ্যা। এ অবস্থায় শয্যার তুলনায় রোগী বেশি হওয়ায় তাদের ঠাঁই হয়েছে মেঝেতে ও বাইরের বারান্দায়। দিন দিন রোগীর সংখ্যা বাড়লেও হাসপাতালের পরিবেশ ও পরিষ্কার- পরিচ্ছন্নতার বিষয়ে উদাসীন কর্তৃপক্ষ।

hospital dog1

রিমন ইসলাম নামের একজন বলেন, ‘আমার এক আত্মীয়ের অসুস্থতায় হাসপাতালটি আমিও এক রাত ছিলাম। তবে পরিবেশ এত বাজে যে সুস্থ কেউ থাকলেও অসুস্থ হয়ে যাবে।’

সমাজকর্মী মারুফ খান বলেন, নীলফামারী জেনারেল হাসপাতালের চিত্রটি মোটেও গ্রহণযোগ্য নয়। কর্তৃপক্ষের নজরদারির অভাব রয়েছে। গার্ড বা রাত্রিকালীন যারা দায়িত্বে থাকেন তাদেরও অবহেলা রয়েছে।

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হওয়া ছবিগুলো তুলেছেন রুবেল ইসলাম নামের বেসরকারি একটি ব্যাংকে কর্মরত একজন ব্যক্তি।

hospital dog1

তিনি জাগো নিউজকে বলেন, ‘আমি গত ২৮ ডিসেম্বর রাত আনুমানিক ৯টায় হাসপাতালে আমার বোন জামাইকে দেখতে যাই। সেখানে যাওয়ার পর কুকুর চারদিকে ঘুরতে দেখি। প্রথমে বিষয়টি এড়িয়ে যাই। পরে যখন মেঝেতে শুয়ে থাকা রোগী ও স্বজনদের শুঁকতে দেখি তখন বিষয়টি খারাপ লাগে। পরে মোবাইলে ছবি তুলে নেই।’

তবে নীলফামারী জেনারেল হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. আবু আল হাজ্জাজের দাবি, ছবিগুলো এখনকার নয়, অনেক আগের। ছবিগুলো সরানোর জন্য কাজ করছি।

hospital dog1

তিনি বলেন, আগের তুলনায় হাসপাতালের পরিবেশ অনেকটা ভালো। অন্যান্য যেসব সমস্যা আছে সেগুলো সমাধানে কাজ করছি।

জেলা সিভিল সার্জন ডা. জাহাঙ্গীর কবীর বলেন, বিষয়টি আমি হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ককে জানাবো। যদি এমনটি হয় তাহলে কুকুর প্রবেশ বন্ধে ব্যবস্থা নিতে বলবো।

এসআর/এমএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, ধর্ম, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।