নেত্রকোনায় চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে ১০ ইউপি সদস্যের অনাস্থা
নেত্রকোনার দুর্গাপুর উপজেলার কুল্লাগড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. আব্দুল আওয়ালের বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাব দিয়েছেন ১০ ইউপি সদস্য।
সোমবার (২৩ জানুয়ারি) সকালে এ অনাস্থা প্রস্তাব হাতে পেয়েছেন বলে জাগো নিউজকে জানিয়েছেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. রাজীব উল আহসান।
আরও পড়ুন: উপজেলা মডেল মসজিদে একাধিক পদে চাকরি
এরআগে রোববার বিকেলে ইউনিয়ন পরিষদের এক নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য মো. মোফাজ্জল হকসহ ১০ নারী ও পুরুষ সদস্যের স্বাক্ষরিত অনাস্থা প্রস্তাবটি ইউএনওর কার্যালয়ে জমা দেওয়া হয়।
অনাস্থা প্রস্তাবে বলা হয়েছে, মো. আব্দুল আওয়াল চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পাওয়ার পর থেকে স্বেচ্ছাচারী মূলক আচরণ, নানা ধরনের আর্থিক ও প্রকল্পের কাজ বাস্তবায়নসহ বিভিন্ন প্রকার কর্মকাণ্ড এককভাবে করেন। এসব বিষয়ে ইউপি সদস্যরা জানতে চাইলে তিনি গালাগাল, হুমকি-ধামকি দেন।
আরও পড়ুন: ওভারটেক করতে গিয়ে বিদ্যুতের খুঁটির সঙ্গে ধাক্কা, কলেজছাত্র নিহত
পরিষদের অধীনে পরিচালিত সব প্রকল্প নিজ আত্মীয়-স্বজন ও বন্ধু-বান্ধবদের মাধ্যমে বাস্তবায়ন করে স্বজনপ্রীতি ও আর্থিক দুর্নীতি করে থাকেন। সাবেক চেয়ারম্যান সুব্রত সাংমা হত্যা মামলার আসামিও চেয়ারম্যান আওয়াল।
তার বিরুদ্ধে নেত্রকোনা মডেল থানায় বিভিন্ন ধারায় মামলাসহ দুর্গাপুর চৌকি আদালতে বিভিন্ন মামলা বিচারাধীন। পরিষদের পরিচালিত কাজের বিষয়ে সভা না করে বিভিন্ন সময় সাদা কাগজে ইউপি সদস্যদের স্বাক্ষর নিয়ে থাকেন। কেউ স্বাক্ষর না দিলে তাকে নানাভাবে হেনস্থা করেন।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে কুল্লাগড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. আব্দুল আওয়াল জাগো নিউজকে বলেন, ‘আমিও শুনেছি। কিসের জন্য দিচ্ছে তা জানি না। মেম্বাররা আমাকে জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের নেতারা জোর করে নাকি স্বাক্ষর নিয়েছেন।’
আরও পড়ুন: বাড়ি গিয়ে না ফেরার দেশে ঢাকা কলেজ শিক্ষার্থী
আওয়ামী লীগ নেতাদের নাম জানতে চাইলে তিনি ইউপি সদস্যদের সঙ্গে কথা বলতে বলেন।
ইউএনও রাজীব উল আহসান বলেন, রোববার বিকেলে অনাস্থা প্রস্তাবটি জমা দিলেও আজ (সোমবার) হাতে পেয়েছি। আইনের বিভিন্ন দিক পর্যালোচনা করে ও ঊর্ধ্বতনের সঙ্গে কথা বলে পরবর্তী করণীয় ঠিক করা হবে।
এইচ এম কামাল/এসজে/এএসএম