৮ দফা দাবিতে কর্মবিরতিতে সিঅ্যান্ডএফ এজেন্টরা

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক নিজস্ব প্রতিবেদক চট্টগ্রাম
প্রকাশিত: ১১:৩২ এএম, ৩০ জানুয়ারি ২০২৩
ফাইল ছবি

চট্টগ্রামসহ সারাদেশের নৌ, বিমান ও স্থল বন্দরগুলোতে কর্মবিরতি পালন করছে ক্লিয়ারিং অ্যান্ড ফরোয়ার্ডিং (সিঅ্যান্ডএফ) এজেন্ট প্রতিষ্ঠানগুলো। কাস্টমস এজেন্টস লাইসেন্সিং বিধিমালা-২০২০ -এর বিভিন্ন ধারা বাতিল ও সংশোধনের দাবিতে ফেডারেশন অব বাংলাদেশ কাস্টমস ক্লিয়ারিং অ্যান্ড ফরওয়ার্ডিং এজেন্টস অ্যাসোসিয়েশনের ডাকে চলছে এ কর্মবিরতি।

এর ফলে কাস্টমস হাউজে আমদানি-রপ্তানি সংক্রান্ত সব ধরনের সেবা বন্ধ রয়েছে। বন্ধ রয়েছে বন্দরগুলোতে পণ্য খালাসও। আগামীকাল (মঙ্গলবার) বিকেল পর্যন্ত দুইদিনের এই কর্মবিরতি পালন করবেন তারা।

আরও পড়ুন: হিলিতে দুদিনের কর্মবিরতিতে সিএন্ডএফ এজেন্ট 

কাস্টমস কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, চট্টগ্রাম বন্দর, মংলা বন্দর, বেনাপোল স্থলবন্দর, কমলাপুর আইসিডি, টেকনাফ স্থলবন্দর, ঢাকার শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরসহ দেশের ২৭টি শুল্ক স্টেশনে সব ধরনের কার্যক্রম বন্ধ রেখে কর্মবিরতি পালন করছেন সিঅ্যান্ডএফ এজেন্টরা। তবে বন্দরের অভ্যন্তরীণ অপারেশনে সিঅ্যান্ডএফ এজেন্টের অংশ বাদে অন্য কাজে এর প্রভাব পড়েনি।

এ ব্যাপারে চট্টগ্রাম সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক কাজি ইমাম হোসেন বিলু জাগো নিউজেকে বলেন, জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) কাস্টমস্ এজেন্টস্ লাইসেন্সিং বিধিমালা-২০২০ এ বেশকিছু আইনের সংশোধন করা হয়েছে। কিন্তু এসব সংশোধনী ব্যবসাবান্ধব নয়। কিছু ধারা নিবর্তনমূলক। লাইসেন্সিং বিধিমালার কতিপয় ধারাগুলো সংশোধন ও বাতিলের দাবিতে আমরা এনবিআরের সঙ্গে কয়েকবার বৈঠক করেছি। আমরা এসব ধারা সংশোধন ও বাতিলের দাবিতে গত ২২ জানুয়ারি থেকে আল্টিমেটামও দিয়েছিলাম। কিন্তু এনবিআর কোনো পদক্ষেপ নেয়নি।

আরও পড়ুন: ঘন কুয়াশায় বিঘ্নিত মোংলা বন্দরের কার্যক্রম 

তিনি বলেন, এতে আমরা বাধ্য হয়েই দুইদিনের কর্মবিরতি পালন করছি। এতে চট্টগ্রাম কাস্টমস হাউজে কোনো ধরনের কাজ চলছে না।

ইকবাল হোসেন/এমএইচআর/জিকেএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।