৫৩ ঘণ্টা পর নিভলো লাগেজ কারখানার আগুন, ক্ষতি ‘দেড়শ কোটি’

উপজেলা প্রতিনিধি উপজেলা প্রতিনিধি মোংলা (বাগেরহাট)
প্রকাশিত: ০৯:৫৬ পিএম, ০২ ফেব্রুয়ারি ২০২৩

অডিও শুনুন

টানা ৫৩ ঘণ্টা প্রচেষ্টার পর মোংলা ইপিজেডের ভিআইপি লাগেজ কারখানার আগুন নেভানো সম্ভব হয়েছে। বৃহস্পতিবার (২ ফেব্রুয়ারি) রাত ৮টায় কারখানাটির ফায়ার আউট ঘোষণা দেন খুলনা ফায়ার সার্ভিস সিভিল ডিফেন্সের উপ-পরিচালক মামুন মাহমুদ।

তিনি বলেন, মঙ্গলবার (৩১ জানুয়ারি) বিকেল ৩টায় ভিআইপি লাগেজ কারখানায় আগুন লাগে। দীর্ঘ চেষ্টার পর বৃহস্পতিবার রাত ৮টায় আগুনে পুরোপুরি নেভানো সম্ভব হয়েছে। এখন কারখানাটির কোথাও আগুনের অস্তিত্ব নেই। তারপরও সেখানে ইপিজেড ফায়ার সার্ভিস স্টেশনের ১২ সদস্যের একটি টিম পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছে।

মোংলা ইপিজেড ফায়ার সার্ভিসের সিনিয়র স্টেশন অফিসার আরবেজ আলী বলেন, এখন কোথাও আগুন দেখা যাচ্ছে না, তবে সামান্য ধোঁয়া রয়েছে। এজন্য এখানে আগামী ২৪ ঘণ্টা আমাদের ফায়ার সার্ভিসের একটি টিম নজরদারিতে থাকবে। তবে এখান থেকে আর আগুন বাড়ার কোনো আশঙ্কা নেই।

ভারতীয় মালিকানাধীন কারখানাটির প্রশাসনিক ও মানবসম্পদ বিভাগের প্রধান কর্মকর্তা মিজানুর রহমান মিজান বলেন, বৃহস্পতিবার রাত ৮টায় আগুন পুরোপুরি নিভে গেছে। তারপরও ফায়ার সার্ভিসের একটি টিম কারখানার অভ্যন্তর ও আশপাশ পর্যবেক্ষণে রেখেছে।

৫৩ ঘণ্টা পর নিভলো লাগেজ কারখানার আগুন, ক্ষতি ‘দেড়শ কোটি’

তিনি বলেন, শর্টসার্কিট থেকে লাগা আগুনে পুড়ে ভিআইপি-১ ফ্যাক্টরির ১৫০ কোটি টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।

মোংলা ইপিজেডের নির্বাহী পরিচালক মাহবুব আহমেদ সিদ্দিক বলেন, শর্টসার্কিট থেকে এ আগুন লেগেছিল বলে ভিআইপি লাগেজ ফ্যাক্টরি কর্তৃপক্ষ আমাদের জানিয়েছেন। তবে আমাদের গঠিত চার সদস্যের তদন্ত কমিটির কাজ চলছে। তাদের রিপোর্ট পেলে আগুন লাগার সূত্রপাত ও ক্ষয়ক্ষতির বিষয়টি জানা যাবে।

আবু হোসাইন সুমন/এসআর/জেআইএম

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।