হিরোকে কেউ জিরো বানাতে পারে না: হিরো আলম

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ১২:৪৭ এএম, ০৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৩

জাতীয় সংসদকে খাটো করতে বিএনপি মো. আশরাফুল হোসেন ওরফে হিরো আলমকে উপনির্বাচনে প্রার্থী করেছিল বলে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বক্তব্য দিয়েছেন। তার এ বক্তব্যকে ‘ঘৃণ্য মন্তব্য’ দাবি করেছেন বগুড়া-৪ (কাহালু-নন্দীগ্রাম) ও বগুড়া-৬ (সদর) আসনের উপনির্বাচনে অল্প ভোটে হেরে যাওয়া এ স্বতন্ত্র প্রার্থী (একতারা প্রতীক)।

আওয়ামী লীগ ও বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতাদের বিভিন্ন মন্তব্যের জেরে শনিবার (৪ ফেব্রুয়ারি) রাত ৯টায় নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক অ্যাকাউন্ট থেকে লাইভে আসেন হিরো আলম। এসময় তিনি আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদকের বক্তব্যের জবাব দেন।

আরও পড়ুন>> হিরো আলমের সংবাদ করায় সাংবাদিকের ওপর হামলা: যুবলীগ নেতা গ্রেফতার

লাইভে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদককে উদ্দেশ করে হিরো আলম বলেন, ‘আপনি (ওবায়দুল কাদের) বলেছেন, হিরো আলম নাকি জিরো হয়েছে। এটা ভুল বলেছেন। হিরোকে কেউ কখনো জিরো করতে পারে না। হিরো হিরোই থাকে। আমাকে জিরো কেউ বানাতে পারেনি, পারবেও না। এটা আপনি ভুল বলেছেন। হিরোকে যারা জিরো বানাতে এসেছে, তারাই জিরো হয়েছে।’

হিরো আলমকে নাকি বিএনপি নির্বাচনে দাঁড়িয়ে (দাঁড় করিয়ে) দিয়েছে ওবায়দুল কাদেরের এমন মন্তব্যের জবাবে তিনি বলেন, আমাকে কেন বিএনপি ভোটে দাঁড় করিয়ে দেবে। ভোটের মাঠে আমার পাশে কি বিএনপির কাউকে দেখেছেন।

বিএনপির নেতা ফখরুল ইসলাম স্যার বলেছেন, ‘এ সরকার এখন হিরো আলমের কাছে অসহায় হয়ে গেছে। এ সরকার অসহায় হয়েছে কি না, আমি জানি না। তবে আমি হিরো আলম যে অসহায় হয়েছি, এ প্রশ্নের জবাব কে দেবে? আমার ভোটের ফলাফল যে কেড়ে নেওয়া হলো, এ প্রশ্নের জবাব কে দেবে?’

আরও পড়ুন>> হিরো আলম হেরে যাওয়ায় ফখরুলের স্বপ্নভঙ্গ: কাদের

আওয়ামী লীগের সম্পাদকের মন্তব্য প্রসঙ্গে হিরো আলম বলেন, ‘ওবায়দুল কাদের স্যার আরও একটি কথা বলেছেন, হিরো আলম এখন জিরো হয়ে গিয়েছে। এটা ভুল বলেছেন। হিরো আলমকে কেউ কোনো দিন জিরো বানাতে পারেনি। হিরোকে যারা জিরো বানাতে এসেছিল, তারাই এখন জিরো গেছে।’

লাইভে সবার উদ্দেশে চ্যালেঞ্জ ছুড়ে হিরো আলম বলেন, ‘আমি হিরো আলম চ্যালেঞ্জ করছি সুষ্ঠু নির্বাচন দেন। প্রতিটি সেন্টারে সিসি ক্যামেরা দেন। বুথে সিসি ক্যামেরা দেন। ইভিএম (ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন) দেবেন না। কারণ ইভিএম হলো চোর। বাইরের দেশে ইভিএম ডাস্টবিনে ফেলে দিছে। সেটা আমাদের দেশ কুড়িয়ে এনে ভোট করছে। এখানেও কারচুপি হয়। ইভিএমে একটা টিপি মারলে আরেকটায় যায়।’

লাইভের শেষদিকে তিনি বলেন, ‘আমি হিরো আলম কোনো দলের সঙ্গে জড়িত না। তাই আপনারা আমাকে নিয়ে কোনো মাখামাখি করবেন না। আপনারা একজন আরেকজনকে দোষ দেবেন না।’

১ ফেব্রুয়ারি বগুড়া-৪ (কাহালু-নন্দীগ্রাম) আসনের উপনির্বাচনে মহাজোটের প্রার্থী এ কে এম রেজাউল করিম তানসেনের কাছে মাত্র ৮৩৪ ভোটের ব্যবধানে হেরে যান হিরো আলম। পরে সেদিন রাতে সংবাদ সম্মেলনে ১০ কেন্দ্রে ফলাফল পাল্টানোর অভিযোগ তুলেন স্বতন্ত্র প্রার্থী হিরো আলম। গণমাধ্যমে এটি দেখার পর সিইসি ফোন করে বিষয়টি খতিয়ে দেখার নির্দেশ দেন।

আরও পড়ুন>> হিরো আলমের কাছেও সুষ্ঠু নির্বাচন দিতে ভয় পায় সরকার: ফখরুল

বেসরকারিভাবে ঘোষিত ফলাফল অনুযায়ী, কাহালু ও নন্দীগ্রাম উপজেলার মোট ১১২টি কেন্দ্রে মোট বৈধ ভোট পড়েছে ৭৮ হাজার ৫২৪টি। এর মধ্যে ২০ হাজার ৪০৫ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে জয়ী হয়েছেন এ কে এম রেজাউল করিম তানসেন (মশাল)। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আশরাফুল হোসেন (একতারা) পেয়েছেন ১৯ হাজার ৫৭১ ভোট।

বিএনপি-জামায়াতের সন্ত্রাস, জঙ্গিবাদ, নৈরাজ্য, অপরাজনীতি ও দেশবিরোধী ষড়যন্ত্রের’ বিরুদ্ধে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগ আয়োজিত শান্তি সমাবেশে বক্তব্য দেন ওবায়দুল কাদের। সেখানে তিনি বলেন হিরো আলম জিরো হয়ে গেছে।

এমএএইচ/

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।