স্কুলের টাকা আত্মসাৎ নিয়ে বিতণ্ডা, অভিভাবক প্রতিনিধিকে মারধর

জেলা প্রতিনিধি
জেলা প্রতিনিধি জেলা প্রতিনিধি জামালপুর
প্রকাশিত: ০৯:৪৬ পিএম, ০৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৩

জামালপুরে স্কুলের টাকা আত্মসাতের বিষয়ে বিতণ্ডায় জড়িয়ে এক অভিভাবক প্রতিনিধিকে মারধরের অভিযোগ উঠেছে বেলটিয়া উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক (ভারপ্রাপ্ত) মো. আতিকুর রহমানের (৫০) বিরুদ্ধে।

এ ঘটনায় রোববার (৫ ফেব্রুয়ারি) রাতে সোহরাব হোসেন (৪৫) নামে ভুক্তভোগী ব্যক্তি সদর থানায় লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন। এর আগে বিকেলে বেলটিয়া উচ্চ বিদ্যালয়ে এ ঘটনা ঘটে।

থানায় দেওয়া অভিযোগ থেকে জানা যায়, প্রধান শিক্ষক মো. আতিকুর রহমান বেলটিয়া উচ্চ বিদ্যালয়ের উন্নয়ন কাজের জন্য গত ১৬ জানুয়ারি এক লাখ ২০ হাজার টাকা উত্তোলন করেন। সেই টাকায় বিদ্যালয়ের উন্নয়ন কাজ না করে টালবাহানা করতে থাকেন।

এ নিয়ে রোববার বিকেলে বিদ্যালয়ের অফিস কক্ষে মিটিং ডাকা হয়। ওইসময় টাকার বিষয়ে জানতে চাইলে প্রধান শিক্ষক সোহরাবকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করেন। এতে নিষেধ করলে ক্ষিপ্ত হয়ে তাকে শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করেন।

এ বিষয়ে সোহরাব হোসেন জাগো নিউজকে বলেন, প্রধান শিক্ষক গত ১৬ জানুয়ারি বিদ্যালয়ের উন্নয়ন কাজের নামে এক লাখ ২০ হাজার টাকা উত্তোলন করেন। ওই টাকার বিষয়ে দীর্ঘদিন ধরেই জানতে চাওয়া হলেও তিনি নানা রকম টালবাহানা করছিলেন। পরে রোববার মিটিং ডেকে এ বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি আমাকে শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করেন। এ ঘটনায় থানায় লিখিত অভিযোগ দিয়েছি।

বেলটিয়া উচ্চ বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি মো. সাজ্জাদ হোসেন বাবুল জাগো নিউজকে বলেন, টাকা উত্তোলন করেও প্রধান শিক্ষক দীর্ঘদিন ধরে অস্বীকার করছিলেন। এ বিষয়ে গতকাল মিটিং চলাকালে জানতে চাইলে আমার সঙ্গেও তিনি অসদাচরণ করেন।

তবে অভিযোগের বিষয়ে সোমবার (৬ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে স্কুলে গিয়ে প্রধান শিক্ষক মো. আতিকুর রহমানকে পাওয়া যায়নি। তারপর তার মোবাইলফোনে কল করলে তিনি অভিযোগ অস্বীকার করে উল্টো ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি সাজ্জাদ ও অভিভাবক প্রতিনিধি সোহরাবের বিরুদ্ধে অভিযোগ করেন। তিনি দাবি করেন, মিটিং চলাকালে ম্যানেজিং কমিটির সদস্যরা তার কাছ থেকে বিদ্যালয়ের মূল্যবান কাগজপত্র ছিনিয়ে নিয়ে মারধর করে বিদ্যালয় থেকে বের করে দেন। তারপর তিনি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের পরামর্শে সদর থানায় গতকালই লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন।

আর টাকা আত্মসাতের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, এই টাকার কথা মনে নেই। ব্যাংকে গেলেই এ বিষয়ে জানা যাবে।

উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার ছানোয়ার হোসেন বলেন, অভিযোগের কপি তিনি পেয়েছেন। বিদ্যালয়ের টাকা ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি এবং প্রধান শিক্ষকের যৌথ স্বাক্ষরে উত্তোলন করা হয়। তাই এ বিষয়ে তদন্তের আগে কিছুই বলা যাবে না।

সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কাজী শাহনেওয়াজ জাগো নিউজকে বলেন, মারধরের অভিযোগে উভয়পক্ষই গতকাল অভিযোগ করেছেন। তদন্ত করে দোষীর বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

মো. নাসিম উদ্দিন/এমআরআর/এমএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।