রেস্তোরাঁ ম্যানেজারের মৃত্যু

মরদেহ নিয়ে রাস্তায় সহকর্মীদের বিক্ষোভ

জেলা প্রতিনিধি
জেলা প্রতিনিধি জেলা প্রতিনিধি নারায়ণগঞ্জ
প্রকাশিত: ০৭:১০ পিএম, ০৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৩

নারায়ণগঞ্জ শহরের চাষাঢ়ায় গুলিতে নিহত ‘সুলতান ভাই কাচ্চি’ রেস্তোরাঁর ম্যানেজার জামান কাজলের (৫০) মরদেহ নিয়ে বিক্ষোভ করেছেন তার সহকর্মী ও এলাকাবাসী।

মঙ্গলবার (৭ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যায় শহরের বাগে জান্নাত এলাকায় মরদেহ পৌঁছালে বিক্ষোভ মিছিল করেন তারা। এ সময় অভিযুক্ত আজহারসহ দোষীদের শাস্তির দাবি জানানো হয়।

জামান কাজলের মরদেহ ঘিরে তার সহকর্মীরা কান্নায় ভেঙে পড়েন। তাদের আহাজারিতে আশপাশ এলাকার পরিবেশ ভারী হয়ে ওঠে। এলাকাজুড়ে শোকাবহ পরিবেশ সৃষ্টি হয়।

আরও পড়ুন: নারায়ণগঞ্জে গুলিবিদ্ধ রেস্তোরাঁ ম্যানেজার মারা গেছেন

সুলতান ভাই কাচ্চি রেস্তোরাঁর কর্মচারী ইব্রাহিম বলেন, ‘আমাদের ম্যানেজার কাজল অনেক ভালো মানুষ ছিলেন। তার কোনো দোষ ছিল না। তাকে কোনো কথা ছাড়াই গুলি করে। আমরা এ ঘটনার বিচার চাই। দোষীদের ফাঁসি দাবি জানাই।’

রেস্তোরাঁ ম্যানেজারের মরদেহ নিয়ে রাস্তায় সহকর্মীদের বিক্ষোভ

কর্মচারী সোহাগ বলেন, ‘আমাদের ম্যানেজারের মতো মানুষ হয় না। তাকে বিনা দোষে আজহার গুলি করেছে। আমরা তার ফাঁসি চাই।’

গত ৬ ফেব্রুয়ারি রাত ১১টার দিকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মো. জামান কাজল মারা যান। তিনি নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলার আলীরটেক ইউনিয়নের শাহ আলমের ছেলে। বন্দরের নবীগঞ্জ এলাকায় বসবাস করতেন কাজল।

আরও পড়ুন: নারায়ণগঞ্জে রেস্টুরেন্টে প্রকাশ্যে গুলি, নারীসহ আহত ৫

এর আগে ৫ ফেব্রুয়ারি রাত সাড়ে ৯টার দিকে শহরের চাষাঢ়ায় আঙ্গুরা প্লাজায় সুলতান ভাই কাচ্চি রেস্তোরাঁয় প্রকাশ্যে গুলি ছোড়ার ঘটনা ঘটে। এতে গুলিবিদ্ধ হন এক নারীসহ পাঁচজন। এর মধ্যে কাজলের অবস্থা গুরুতর ছিল।

রেস্তোরাঁ ম্যানেজারের মরদেহ নিয়ে রাস্তায় সহকর্মীদের বিক্ষোভ

এ ঘটনায় রেস্তোরাঁর মালিক শুক্কুর আলী বাদী হয়ে বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. আজাহার তালুকদার ও আরিফ তালুকদার মোহনকে আসামি করে নারায়ণগঞ্জ সদর মডেল থানায় মামলা করেন। মামলায় আসামি বাবা ও ছেলেকে গ্রেফতার দেখানো হয়। মঙ্গলবার আদালত তাদের দুদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন।

রেস্তোরাঁর মালিক শুক্কুর আলী বলেন, ঘটনার দিন সন্ধ্যায় পানির বিল বাবদ ১০ লাখ টাকা চেয়ে আমাদের গালমন্দ করতে থাকেন আজাহার। আমরা এর প্রতিবাদ করি এবং বলি, এ বিষয়ে তার ভাইয়ের সঙ্গে কথা বলবো। কিন্তু তিনি কথা না শুনে দৌড়ে পিস্তল ও শটগান এনে গুলি চালান। আমাদের ম্যানেজার কাজলসহ বেশ কয়েকজন গুলিবিদ্ধ হন।

ঘটনাস্থল পরিদর্শনে গিয়ে নারায়ণগঞ্জের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অপরাধ) চাইলাউ মারমা বলেন, আমরা প্রাথমিকভাবে একজন আহত হওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত হয়েছি। রাগের বশেই এ কাণ্ড ঘটিয়েছেন বলে জানতে পেরেছি।

মোবাশ্বির শ্রাবণ/এসজে/জেআইএম

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।