ঈশ্বরদীতে মাহাবুব আহমেদ স্মৃতি মঞ্চসহ ১৬ স্থাপনা উচ্ছেদ

উপজেলা প্রতিনিধি উপজেলা প্রতিনিধি ঈশ্বরদী (পাবনা)
প্রকাশিত: ০৪:১২ পিএম, ০৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৩

অডিও শুনুন

ঈশ্বরদীতে মাহাবুব আহমেদ স্মৃতি মঞ্চসহ ১৬টি স্থাপনা উচ্ছেদ করেছে পাকশী রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ। বুধবার (৮ ফেব্রুয়ারি) বেলা ১১টায় এ উচ্ছেদ অভিযানে নেতৃত্ব দেন পাকশী রেলওয়ে বিভাগীয় ম্যানেজার (ডিআরএম) শাহ সুফি নূর মোহাম্মদ ও পাকশী বিভাগীয় ভূ-সম্পদ কর্মকর্তা মো. নুরুজ্জামান।

স্থানীয়রা জানান, আশির দশকে ঈশ্বরদী মাহাবুব আহমেদ খান স্মৃতি মঞ্চ নির্মিত হয়। এরপর থেকে এ অঞ্চলের রাজনৈতিক, সামাজিক, ধর্মীয় ও সাংস্কৃতিক নানা অনুষ্ঠান এখানে হয়। এটি ঈশ্বরদী শহরের একমাত্র মুক্ত মঞ্চ।

ব্যবসায়ীরা জানান, দীর্ঘদিন ধরে রেলের পরিত্যক্ত জায়গায় অস্থায়ী লাইসেন্সের ভিত্তিতে দোকানপাট বসিয়ে ব্যবসা করে আসছিলাম। রেলের কর্মকর্তারা এ জায়গাটি খালি করার নির্দেশ দেন। ১৬টি দোকানপাট উচ্ছেদ দেওয়া হচ্ছে। দোকানের প্রয়োজনীয় মালামাল ও আসবাবপত্র সরিয়ে নিয়েছি।

আরও পড়ুন: ২৯ অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ 

উচ্ছেদ অভিযান তিনটি দোকান ভেঙে দিয়েছে আল-আমিন হোসেনের। তিনি জাগো নিউজকে বলেন, রেলের জায়গা রেল নিয়ে নিবে এতে আমাদের কিছু করার নেই। এ জায়গায় আমার ফলের দোকানসহ তিনটি দোকান ছিল। এসব দোকান উচ্ছেদের ফলে আমি নিঃস্ব হয়ে গেলাম। রেল কর্তৃপক্ষের কাছে আমাদের আবেদন অন্য কোথাও দোকানপাট স্থাপনের ব্যবস্থা যেন করে দেয়।

jagonews24

জেনারেল ব্যবসায়ী রকিবুল ইসলাম বলেন, ২৫ বছর ধরে এখানে জেনারেটর মেশিন বসিয়ে ব্যবসা করে আসছি। আজ উচ্ছেদ অভিযানে জেনারেটর মেশিন সরিয়ে নিয়েছি। কিন্তু কোথায় এ মেশিন বসাবো তা এখনো ঠিক করতে পারিনি।

উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আলহাজ্ব নায়েব আলী বিশ্বাস জাগো নিউজকে বলেন, এ মঞ্চের সঙ্গে জড়িয়ে আছে ঈশ্বরদীর রাজনীতির নানান স্মৃতি। দলীয় বড় বড় জনসভার পাশাপাশি এখানে সামাজিক, ধর্মীয় ও সাংস্কৃতিক নানা অনুষ্ঠান হয়। এ মঞ্চ ভেঙ্গে ফেলা হবে এটিতো আগে শুনিনি। মঞ্চ ভেঙে ফেলার কথা শুনে মর্মাহত হলাম।

পাকশী বিভাগীয় ভূ-সম্পদ কর্মকর্তা মো. নুরুজ্জামান বলেন, রেলের উন্নয়ন প্রকল্প গ্রহণ করা হয়েছে। এখানকার ব্যবসায়ীদের দোকানপাট সরিয়ে নেওয়ার জন্য ১৫ দিন আগে বলা হয়েছে। দোকানদাররা মালামাল সরিয়ে নিয়েছেন। এখানকার ১৬টি স্থাপনা উচ্ছেদ করা হচ্ছে।

পাকশী রেলওয়ে বিভাগীয় ম্যানেজার (ডিআরএম) শাহ সুফি নূর মোহাম্মদ জাগো নিউজকে বলেন, এটি রেলওয়ের গাড়ি পার্কিং এরিয়া। এ পার্কিং এরিয়ার আশপাশে অস্থায়ী লাইসেন্সের মাধ্যমে ব্যবসা প্রতিষ্ঠান নির্মাণের অনুমতি দেওয়া হয়েছিল। রেলের উন্নয়ন কাজের জন্য অস্থায়ী লাইসেন্স বাতিল করা হয়েছে।

শেখ মহসীন/আরএইচ/জিকেএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।