ধুনটে নদীর তীর কেটে আওয়ামী লীগ নেতার মাটি বাণিজ্য

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক নিজস্ব প্রতিবেদক বগুড়া
প্রকাশিত: ০৫:২৩ পিএম, ১৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৩

বগুড়ার ধুনটে বাঙালি নদীর তীর ও চর কেটে আবুল কালাম নামের আওয়ামী লীগের এক নেতার বিরুদ্ধে মাটি বাণিজ্যের অভিযোগ উঠেছে। বিষয়টি নিয়ে উপজেলার নিমগাছি ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাবেক যুগ্ম-সম্পাদক নবাব আলী বাদী হয়ে জেলা প্রশাসক ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাসহ প্রশাসনের বিভিন্ন দপ্তরে এ অভিযোগ করেন।

এই অভিযোগের অনুলিপি সংবাদ কর্মীদের হাতে এসেছে। অবৈধ মাটি কারবারে অভিযুক্ত আবুল কালাম উপজেলার নিমগাছি ইউনিয়নের ১ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি ও বেড়েরবাড়ি গ্রামের দিরেসতুল্লাহর ছেলে। তিনি প্রায় দুইমাস ধরে বেড়েরবাড়ি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় এলাকায় নদী থেকে খননযন্ত্র দিয়ে মাটি কেটে অবাধে বিক্রি করছেন।

অভিযোগ সূত্র জানায়, শুষ্ক মৌসুমের শুরুতে নাব্যতা সংকটে বাঙালি নদীর বেড়েরবাড়ি এলাকায় চর জেগে উঠেছে। সেই চর থেকে খনন যন্ত্র দিয়ে অবাধে মাটি কেটে বিক্রি করছেন আওয়ামী লীগ নেতা আবুল কালাম। একই সঙ্গে নদীর পাড় ও তীর থেকে মাটি কেটে নেওয়া হচ্ছে। প্রতিদিন শতাধিক ট্রাক মাটি কেটে বিক্রি করছেন তিনি। তবে দিনের চেয়ে রাতের বেলায় মাটি কাটার মহোৎসব চলছে।

আরও পড়ুন: খালের মাটি কেটে ইটভাটায় বিক্রি

বাঙালি নদীতে এখন পানি নেই। তাই মাটি কাটার বিরূপ প্রভাব পড়ছে না। তবে বর্ষা মৌসুমে নদীতে পানি বৃদ্ধি পেলে মাটি কাটার বিরূপ প্রভাব পড়ার শঙ্কা করছেন স্থানীয়রা। বর্ষা মৌসুমে পানির প্রবল স্রোতে ঘূর্ণাবর্তের সৃষ্টি হয়ে ভাঙন দেখা দিবে। তখন নদী তীরের আবাদি জমি ও বসতবাড়িসহ বেড়েরবাড়ি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়টি ভাঙনের কবলে পড়বে।

মাটি কারবারি আবুল কালাম ওই প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক ও নিমগাছি ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক মামুনুর রশিদকে ম্যানেজ করে এ বাণিজ্য করছেন।

বেড়েরবাড়ি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক মামুনর রশিদ বলেন, বেড়েরবাড়ি গ্রামের আবুল কালাম নামে এক প্রভাবশালী ব্যক্তি মাটি কেটে বিক্রি করছেন। তবে ওই মাটি বাণিজ্যের সঙ্গে আমি জড়িত না। আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ দেওয়া হয়েছে।

এ বিষয়ে মাটি কারবারি আবুল কালাম বলেন, পলি পড়ে নদীর তলদেশ ভরাট হয়ে নাব্যতা সংকট সৃষ্টি হয়েছে। তাই নদীর পানি প্রবাহ তৈরির করার জন্য চর থেকে মাটি কেটে বিক্রি করছি। এতে আবাদি জমি, বসতবাড়ি কিংবা কোনো প্রতিষ্ঠানের ক্ষতি হবে না।

ধুনট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সঞ্জয় কুমার মহন্ত বলেন, বাঙালি নদীর চর কাটার অভিযোগ তদন্ত করে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

আরএইচ/এএসএম

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, ধর্ম, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।