ফেসবুকে লাইভের জন্য মাহির দুঃখ প্রকাশ

ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে দায়ের করা মামলায় চিত্রনায়িকা মাহিয়া মাহিকে গ্রেফতারের পর কারাগার থেকে রাত পৌনে আটটার দিকে মুক্তি পেয়েছেন তিনি। মুক্তির পর ফারিশতা রেস্টুরেন্টে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে তিনি ফেসবুক লাইভের ঘটনায় ক্ষমা চেয়ে দুঃখ প্রকাশ করেছেন।
এর আগে শনিবার দুপুর পৌনে ১২টার দিকে তাকে ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে গ্রেফতার করা হয়। তার বিরুদ্ধে গাজীপুরের বাসন থানায় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন ও জমি সংক্রান্ত বিরোধে মারামারির ঘটনায় হুকুমের আসামি হিসেবে দুটি মামলা রয়েছে। গ্রেফতারের পর মাহিয়া মাহিকে কড়া পুলিশ পাহারায় প্রথমে বাসন থানায়, পরে গাজীপুর আদালতে নেওয়া হয়।
তার আইনজীবী আনোয়ার সাদত সরকার জানান, দুপুরে মাহিয়া মাহিকে পুলিশ আদালতে হাজির করলে গ্রেফতারি পরোয়ানামূলে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়। তখন মাহির জামিন চাওয়া হয়নি। বিকেলে গাজীপুর মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালত-৫ এ তার জামিন আবেদন করলে বিচারক দুটি মামলাতেই তাকে জামিন দেন।
আরও পড়ুন: দুপুরে কারাগারে, বিকেলে জামিন পেলেন মাহি
জামিন পেয়ে গাজীপুর শহরের তেলীপাড়ায় ফারিশতা রেস্টুরেন্টে যান। সেখানে তিনি সাংবাদিকদের ঘটনা সম্পর্কে ব্রিফিং করেন।
ব্রিফিংকালে মাহিয়া মাহি বলেন, তাকে গ্রেফতারের পর পুলিশ তার সঙ্গে মানবিক আচরণ করেনি। তিনি এক গ্লাস পানি চাইলেও পুলিশ তা দেয়নি।
তিনি আরও বলেন, ফেসবুক লাইভে তিনি পুলিশ প্রশাসন নিয়ে কোনো মন্তব্য করেননি। তিনি একজন ব্যক্তিকে নিয়ে কথা বলেছেন। তিনি আশঙ্কা প্রকাশ করে বলেন, পুলিশ তার সঙ্গে যে আচরণ করেছে তার স্বামী দেশে আসলে তার সঙ্গে আরও বেশি খারাপ আচরণ করা হতে পারে।
ফেসবুক লাইভে এসে কথা বলার কারণে তিনি ক্ষমা চেয়ে দুঃখ প্রকাশ করেন। তবে পুলিশ কমিশনারের বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ থেকে সরে যাননি। সুষ্ঠু তদন্ত সাপেক্ষে তিনি এসব ঘটনার বিচার দাবি করেন। তিনি দাবি করেন অন্যায়ভাবে তাদের গাড়ির শোরুমে হামলা ও ভাঙচুর করা হলো। অথচ পুলিশ উল্টো আমাদের এবং আমাদের কর্মচারীদের নামে মামলা দিয়েছে।
আরও পড়ুন: মাহি ও তার স্বামীর বিরুদ্ধে পুলিশের মামলা
তবে তিনি কারা কর্তৃপক্ষকে ধন্যবাদ জানান। কারা কর্তৃপক্ষ তাকে অনেক সম্মান দেখিয়ে মানবিক আচরণ করেছে বলেও জানান।
মো. আমিনুল ইসলাম/এমএইচআর