শহীদ চান্দু স্টেডিয়াম

রুমেলের অনশন ভাঙালেন সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক নিজস্ব প্রতিবেদক বগুড়া
প্রকাশিত: ০৭:৪৮ পিএম, ১৯ মার্চ ২০২৩

বগুড়ার শহীদ চান্দু স্টেডিয়ামের ভেন্যু বাতিলের প্রতিবাদে ফের অনশনে নামা হুমায়ুন আহম্মেদ রুমেলের অনশন ভাঙিয়েছেন সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ।

রোববার (১৯ মার্চ) বিকেল পৌনে ৫টার দিকে সার্কিট হাউজে প্রতিমন্ত্রী নিজ হাতে পানি পান করিয়ে তার অনশন ভাঙান।

এর আগে বেলা ১১টার দিকে শহরের সাতমাথা এলাকায় হাতে-গলায় শিকল বেঁধে কাফনের কাপড় পরে দ্বিতীয় দফায় অনশনে নামেন রুমেল।

সার্কিট হাউজে সাংস্কৃতিক ব্যক্তি ও গণমাধ্যমকর্মীদের সঙ্গে মতবিনিময় শেষে বিকেলে বের হওয়ার সময় প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদের গাড়ির সামনে রুমেল দাঁড়িয়ে যান। তিনি প্রতিমন্ত্রীর কাছে বগুড়া শহীদ চান্দু স্টেডিয়ামের ভেন্যু বাতিলের সিদ্ধান্ত প্রত্যাহারসহ আন্তর্জাতিক ক্রিকেট ম্যাচ ফিরিয়ে আনার দাবি জানান। এসময় প্রতিমন্ত্রী রুমেলের দাবিগুলো যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ে পৌঁছে দেওয়ার আশ্বাস দিয়ে তার অনশন ভাঙান।

হুমায়ন আহম্মেদ রুবেল বগুড়া শহরের নাটাইপাড়া এলাকার মৃত বীর মুক্তিযোদ্ধা জালাল উদ্দিনের ছেলে। তিনি পেশায় সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের একজন কন্টেন্ট ক্রিয়েটর।

হুমায়ন আহম্মেদ রুমেল বলেন, জেলা ক্রীড়া সংস্থার আশ্বাসের পরও ইতিবাচক কোনো সিদ্ধান্ত না আশায় আবারও অনশন শুরু করেছিলাম। মন্ত্রী বগুড়া এসেছেন জেনে তার সামনে গিয়ে দাঁড়িয়েছিলাম। তিনি স্নেহভরে আমার সঙ্গে কথা বলেছেন, আমার সব কথা শুনেছেন। তিনি আশ্বাস দিয়েছেন ভেন্যু ফিরিয়ে আনার বিষয়ে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ে কথা বলবেন। এছাড়া মন্ত্রী নিজ হাতে আমাকে পানি পান করিয়েছেন। এজন্য আপাতত আমি অনশন স্থগিত করছি।

এর আগে রুবেল ৫ মার্চ থেকে ৮ মার্চ পর্যন্ত প্রায় ৮০ ঘণ্টা কাফনের কাপড় পরে আমরণ অনশন করেছিলেন। বগুড়া জেলা ক্রীড়া সংস্থার আশ্বাসে তিনি ১৮ মার্চ পর্যন্ত অনশন স্থগিত করেন।

গত ২ মার্চ জাতীয় ক্রীড়া পরিষদে চিঠি পাঠিয়ে শহীদ চান্দু স্টেডিয়াম থেকে নিজেদের সবরকম কার্যক্রম গুটিয়ে নেয় বিসিবি। বগুড়া জেলা ক্রীড়া সংস্থার অসহযোগিতার অভিযোগ এনে প্রতিষ্ঠানটি ১৭ কর্মকর্তা ও কর্মচারীকে ক্লোজ করে সব মালামাল নিয়ে যায়।

এমআরআর/এএসএম

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।