রামেকে টাকার বিনিময়ে সিরিয়াল ভেঙে এক্স-রে, প্রতিবাদ করায় মারধর

জেলা প্রতিনিধি
জেলা প্রতিনিধি জেলা প্রতিনিধি রাজশাহী
প্রকাশিত: ০৫:১২ পিএম, ২৩ মার্চ ২০২৩

রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতলে টাকার বিনিময়ে রোগীদের সিরিয়াল ভেঙে এক্স-রে করাচ্ছিলেন এক্স-রে বিভাগের কর্মচারীরা। এ নিয়ে প্রতিবাদ করেন ইমরুল কায়েস প্রান্ত নামে এক রোগীর স্বজন। এতে প্রান্তর মায়ের এক্স-রে না করে তাকে পেটানোর অভিযোগ পাওয়া গেছে।

বৃহস্পতিবার (২৩ মার্চ) সকাল সাড়ে ১০টার দিকে হাসপাতালের এক্স-রে বিভাগের সামনে এই ঘটনা ঘটে।

আহত ইমরুল কায়েস প্রান্ত (৩২) নগরীর কাটাখালি থানার হরিয়ান এলাকার মৃত জিল্লুর রহমানের ছেলে।

তিনি বলেন, মাকে নিয়ে আমি এক্স-রে বিভাগের সামনে যাই। সেখানে অনেকের সঙ্গে আমিও টোকেন জমা দিই। কিন্তু এক্স-রে বিভাগের স্টাফ আজাহার টাকার বিনিময়ে রোগীদের সিরিয়াল ভেঙে এক্স-রে কক্ষে প্রবেশ করাচ্ছেন দেখতে পাই। আমি এর প্রতিবাদ করায় তিনি বলে ওঠেন তোমার কাগজ সবার নিচে দিয়ে দেবো। এরপর আমি প্রতিবাদ করলে তারা দুজন এসে আমার রোগীর এক্স-রে করবেন না বলে টোকেন ফেরত দেন। এতে আমি তাদের সঙ্গে তর্কে জড়িয়ে পড়ি। এক পর্যায়ে বাগবিতণ্ডা হলে মো. আজাহার ও কর্তব্যরত আনসার সদস্য মো. হাফিজুর রহমান আমাকে মারধর করেন। এতে আমার বুকে আঘাত লেগেছে।

এ বিষয়ে জানতে এক্স-রে বিভাগে গেলে মো. আজাহার ও আনসার সদস্য মো. হাফিজুর রহমানকে পাওয়া যায়নি।

রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল ডা. এফএম শামীম বলেন, সরজমিনে গিয়ে উভয়পক্ষের কথা শুনেছি। রোগীর সেই স্বজন উদ্ধত আচরণ করেন। সবার আগে তার সিরিয়ালটি চাই।

তিনি বলেন, রোগীর সেই স্বজন ভুল বুঝতে পেরেছিলেন। সে বারবার ক্ষমা চেয়েছে এবং আমাদের কাছে একটি লিখিত মুসলেকাও দিয়েছে। ভবিষ্যতে এ ধরনের কাজ সে আর করবে না। এখানে রামেক হাসপাতালের কোনো স্টাফ টাকা লেনদেন বা অন্য কোনো কিছুর সঙ্গে জড়িত ছিলেন না।

সাখাওয়াত হোসেন/এফএ/জিকেএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।