রমজানে খামারে ১০ টাকা লিটারে দুধ বিক্রি

জেলা প্রতিনিধি
জেলা প্রতিনিধি জেলা প্রতিনিধি কিশোরগঞ্জ
প্রকাশিত: ০২:২৬ পিএম, ২৪ মার্চ ২০২৩
১০ টাকা লিটারে দুধ দিচ্ছেন এরশাদ

রমজান উপলক্ষে ১০ টাকা লিটারে খামারের দুধ বিক্রি করছেন এরশাদ উদ্দিন। তবে সামর্থ্য অনুযায়ী কেউ কেউ ১ টাকা কিংবা বিনামূল্যেও দুধ পাবেন।

শুক্রবার (২৪ মার্চ) বেলা ১১টা থেকে এ কার্যক্রম শুরু করেন। পুরো রোজায় চলবে এ কার্যক্রম। একদিনে একজন সর্বোচ্চ এক লিটার দুধ কিনতে পারছেন।

এরশাদ উদ্দিন কিশোরগঞ্জ জেলার করিমগঞ্জ উপজেলার নিয়ামতপুর রৌহা গ্রামের বাসিন্দা। তিনি বাংলাদেশ মিলস্কেল রি-প্রসেস অ্যান্ড এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি ও জে সি অ্যাগ্রো ফার্মের চেয়ারম্যান।

jagonews24

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, তিন বছর আগে এরশাদ উদ্দিন নিজ এলাকায় জে সি অ্যাগ্রো ফার্ম নামে একটি খামার গড়ে তুলেন। তার খামারে দুগ্ধ ও মোটাতাজাকরণের ৪০০ গরু আছে। এর মধ্যে বর্তমানে ২০টি গরু দুধ দিচ্ছে। প্রতিদিন খামার থেকে ৭০-৭৫ লিটার দুধ উৎপাদিত হচ্ছে। এসব দুধ ১০ টাকা লিটার দরে বিক্রির সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তিনি। তবে সামর্থ্য অনুযায়ী কেউ কেউ ১ টাকা কিংবা বিনামূল্যেও দুধ পাবেন। যে কেউ তার খামার থেকে সর্বোচ্চ এক লিটার দুধ কিনতে পারবেন।

বেলা ১১টার দিকে গিয়ে এরশাদের খামারে গিয়ে দেখা গেছে, কয়েকশ নারী-পুরুষ বোতল হাতে লাইন ধরেছেন। কেউ ১০ টাকায় আবার কেউবা ১ টাকায় আবার কেউ বিনামূল্যেও দুধ পেয়েছেন।

jagonews24

নিয়ামতপুর ইউনিয়নের দেওপুর গ্রামের মমতা বেগম ও করফুলা বেগম বলেন, ‘বাজারে সব কিছুরই মূল্য অনেক। রমজানে ১০০ টাকা লিটার করে দুধ কিনে খাওয়া সম্ভব না। এরশাদ ভাই ১০ টাকা করে দুধ দিচ্ছেন। এ দুধ দিয়েই আমরা সেহরি খাবো।’

রৌহা গ্রামের হারেস উদ্দিন ও কামাল মিয়া বলেন, ‘এরশাদ সাহেব আমাদের জন্য ১০ টাকা করে এক লিটার দুধ দিচ্ছেন। আমরা অনেক খুশি। কারণ বাজার থেকে দুধ কিনে খাওয়া সম্ভব না।’

মোহাম্মদ ইমরান বলেন, ‘এরশাদ ভাইয়ের এ মানবিক উদ্যোগ আমাদের উপজেলায় প্রশংসিত হয়েছে। তিনি সব সময়ই এমন মানবিক উদ্যোগ নেন।’

jagonews24

বাংলাদেশ মিলস্কেল রি-প্রসেস অ্যান্ড এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি ও জে সি অ্যাগ্রো ফার্মের চেয়ারম্যান এরশাদ উদ্দিন বলেন, রমজান এলেই এলাকায় দুধের চাহিদা বেড়ে যায়। হাট-বাজারগুলোতে এক কেজি দুধ ৯০-১০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এ দামে নিম্নবিত্ত মানুষের কিনে খাওয়ার ক্ষমতা নেই। বিষয়টা চিন্তা করেই তাদের জন্য নামমাত্র ১০ টাকা মূল্যে দুধ দিচ্ছি। সামর্থ্য না থাকায় কয়েকজনকে ১ লিটারও দিয়েছি। কিছু লোকজনকে বিনামূল্যে দিয়েছি। এ কার্যক্রম চলবে রমজানের শেষ দিন পর্যন্ত।

তিনি আরও বলেন, পুরো রমজানে আমার খামারে যা দুধ উৎপাদন হবে সবই ১০ টাকা কিংবা ১ টাকা করে বিক্রি হবে। যার যে সামর্থ্য আছে সে পরিমাণ টাকা দিয়ে দুধ কিনবেন। এ রমজানে ২ টন দুধ বিক্রি করবো।

এসজে/এমএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।