দোকানে তরল দুধের দামে ভিন্নতা, বিপাকে ক্রেতারা

জেলা প্রতিনিধি
জেলা প্রতিনিধি জেলা প্রতিনিধি ফেনী
প্রকাশিত: ১২:২১ পিএম, ২৭ মার্চ ২০২৩

রমজানকে ঘিরে ফেনী পৌর শহরে দুধের চাহিদা বেড়েছে। তবে এককে দোকানে একেক দামে প্যাকেটজাত তরল দুধ বিক্রি হচ্ছে। দোকানভেদে প্রতি কেজি দুধ ৭৫-৯০ টাকা রাখা হচ্ছে। এতে বিপাকে পড়েছেন ক্রেতারা।

শহরের বেশ কয়েকটি এগ্রো ফার্মের বিক্রয় কেন্দ্রে গিয়ে জানা যায়, অনেকেই ইফতারি ও সেহেরিতে গরুর দুধ দিয়ে নানা রকম খাবার তৈরি করেন। ফলে দুধের চাহিদা অন্য সময়ের চেয়ে রোজায় বেড়ে যায়। রোজা শুরুর আগের দিন থেকে তরল দুধের ক্রেতা কয়েকগুণ বাড়ে। আগে যারা আধা কেজি কিংবা এক কেজি দুধ কিনতেন তারা একসঙ্গে দু-তিন কেজি কিনে নেন। আর দামের ক্ষেত্রে একেক দোকানে একেক রকম।

বড় মসজিদ রোডের আল মজিব ডেইরি ফার্মে প্রতি লিটার দুধ বিক্রি হচ্ছে ৮০ টাকা, গ্রিন এগ্রো ফার্মে ৭৫ টাকা, ডাক্তারপাড়া মোড়ের ব্যবসায়ী গিয়াস উদ্দিনের দোকানে ৮৫ টাকা, আলী ডেইরি ফার্মে ৯০ টাকা। এছাড়া অন্য দোকানগুলোতেও বিভিন্ন দামে তরল দুধ বিক্রি হচ্ছে।

দোকানে তরল দুধের দামে ভিন্নতা, বিপাকে ক্রেতারা

বড় মসজিদ রোডের আল মজিব ডেইরি ফার্মের মালিক জয়নাল আবেদিন জানান, তার দোকানে প্রতিদিন ১৫০০-১৮০০ লিটার দুধের চাহিদা আছে। অথচ তার ফার্মে দুধ উৎপাদন ৬০-৭০ লিটার। বাকি দুধ তিনি বিভিন্ন ফার্ম থেকে সংগ্রহ করে ক্রেতার চাহিদা যোগান দেন। ফার্মে আগের মতো দুধ উৎপাদন না হওয়ায় একপ্রকার সংকট তৈরি হয়েছে। ফলে দুধের দাম কিছুটা বেড়েছে।

লেমুয়া ইউনিয়নের গ্রীন এগ্রো ফার্মের মালিক মুক্তিযোদ্ধা মো. ইদ্রিস জানান, গবাদি পশুর খাদ্য মূল্য এবং গ্রামে চুরি বেড়ে যাওয়ায় অনেক খামারি গরু পালন বন্ধ করে দিয়েছে। কিছুদিন আগে তার ফার্মের প্রায় ২ লাখ টাকার খড়ের গাদা পুড়িয়ে দিয়েছে দুর্বৃত্তরা। টাকার অভাবে বাধ্য হয়ে কয়েকটি গরু বিক্রি করে দেন। ফলে তার ফার্মে দুধ উৎপাদন কমে গেছে। চাহিদা অনুযায়ী যোগান না থাকায় দামে কিছুটা তারতম্য হচ্ছে।

দোকানে তরল দুধের দামে ভিন্নতা, বিপাকে ক্রেতারা

শহরের ডাক্তারপাড়া মোড়ের ব্যবসায়ী গিয়াস উদ্দিন জানান, একসময় বিভিন্ন ফার্ম থেকে দুধ রাখতে ও বিক্রি করতে উৎসাহ দিত। এখন খামারিদের ফোন করেও দুধ পাওয়া যাচ্ছে না। রোজার শুরু থেকে তরল দুধের চাহিদা অধিক হারে বেড়ে গেছে। ফলে ক্রেতাদের চাহিদা মেটাতে মিষ্টির কারখানায় দুধ সরবরাহ কমিয়ে দিয়েছি। তবে দোকানে দোকানে দামের পার্থক্য আছে।

ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর ফেনীর সহকারী পরিচালক কাওছার মিয়া জাগো নিউজকে বলেন, ভোক্তা অধিকার আইন অনুযায়ী ক্রয়কৃত মূল্যের চেয়ে অস্বাভাবিক দামে পণ্য বিক্রি করলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হয়। বেশি দামে বিক্রি করলেও এক্ষেত্রে ব্যবসায়ীদের ক্রয়ের রশিদ দেখাতে হয়। উপযুক্ত প্রমাণ না দিতে পারলে ওই ব্যবসায়ীকে আইনের আওতায় আনা হয়।

আবদুল্লাহ আল-মামুন/এসজে/জেআইএম

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।