শিক্ষার্থীদের মহাসড়কে ফেলে পেটালেন ম্যানেজিং কমিটি সদস্যরা

ময়মনসিংহের ভালুকায় সরকারি নির্দেশনা অমান্য করে স্কুল খোলা রাখার প্রতিবাদে মহাসড়ক অবরোধ করে শিক্ষার্থী। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে মহাসড়কে ফেলেই শিক্ষার্থীদের পিটিয়েছেন স্কুলের ম্যানেজিং কমিটির সদস্যরা।
সোমবার (২৭ মার্চ) দুপুর ১২টার দিকে সোনার বাংলা উচ্চ বিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীরা স্কুল খোলা রাখার প্রতিবাদে হবিরবাড়ি এলাকায় ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক অবরোধ করলে এ ঘটনা ঘটে।
সূত্র জানায়, রমজান ও ঈদুল ফিতর উপলক্ষে মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে ২৩ মার্চ থেকে ছুটি শুরুর নির্দেশনা রয়েছে। তবে ওই নির্দেশনা অমান্য করে স্কুল খোলা রাখছিলেন সোনার বাংলা উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষকরা। এতে শিক্ষার্থীরা স্কুল বন্ধের দাবি জানিয়ে আসছিল। তবে, শিক্ষকরা তা মানছিলেন না। শিক্ষার্থীরা দাবি আদায়ে উপজেলার হবিরবাড়ি এলাকায় ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক অবরোধ করে। এতে স্কুলের ম্যানেজিং কমিটির সদস্য আবুল কালাম খানসহ আরও কয়েকজন শিক্ষার্থীদের অবরোধ তুলে নেওয়ার জন্য লাঠিপেটা করেন। এতে নাঈমসহ বেশ কয়েকজন আহত হয়। পরে পুলিশ এসে শিক্ষার্থীদের আশ্বস্ত করলে তারা মহাসড়ক ছেড়ে যায়।
লাঠিপেটায় আহত শিক্ষার্থী আব্দুল্লাহ আল নাঈম বলে, ‘রমজানের শুরু থেকেই আমরা স্কুল বন্ধের দাবি জানিয়ে আসছিলাম। তবে শিক্ষকরা দাবি না মানায় আমরা মহাসড়ক অবরোধ করি। ওই সময় ম্যানেজিং কমিটির সদস্য আবুল কালাম খানসহ কয়েকজন অবরোধ তুলে নেওয়ার জন্য আমাদের লাঠিপেটা করেন। এতে আমিসহ বেশ কয়েকজন আহত হয়েছি।’
সোনার বাংলা স্কুলের প্রধান শিক্ষক নুরুল ইসলাম মানিক বলেন, ‘শিক্ষার্থীদের ভালোর জন্যই স্কুল খোলা রেখেছিলাম। তবে, কিছু শিক্ষার্থী স্কুল বন্ধের জন্য দাবি জানিয়ে আসছিল। স্কুল বন্ধ না দেওয়ায় শিক্ষার্থীরা সড়ক অবরোধ করে। পরে আমরা তাদের বুঝিয়ে সড়ক থেকে নিয়ে এসেছি। তবে, কে কাকে মারধর করেছে বিষয়টি জানা নেই।’
এ বিষয়ে বক্তব্য জানতে স্কুল ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি শাহাব উদ্দিন তালুকদার ও অভিযুক্ত কমিটির সদস্য আবুল কালামের সঙ্গে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি।
ভালুকা মডেল থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মোহাম্মদ কামাল হোসেন বলেন, খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে যায় এবং শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কথা বলে তাদের রাস্তা থেকে সরিয়ে দেয়।
এ বিষয়ে ভালুকা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সালমা খাতুন বলেন, বিষয়টি শুনেছি। স্কুল ম্যানেজিং কমিটি, শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের ডাকা হয়েছে। তাদের সঙ্গে আলোচনা করে দোষীদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
মঞ্জরুল ইসলাম/এসআর/জিকেএস