র‌্যাব হেফাজতে মারা যাওয়া জেসমিনের ছেলের খোঁজ মিলেছে

জেলা প্রতিনিধি
জেলা প্রতিনিধি জেলা প্রতিনিধি নওগাঁ
প্রকাশিত: ০৪:১৬ পিএম, ২৮ মার্চ ২০২৩
শাহেদ হোসেন সৈকত

র‌্যাব হেফাজতে মারা যাওয়া সুলতানা জেসমিনের ছেলে শাহেদ হোসেন সৈকতের খোঁজ মিলেছে। মায়ের মৃত্যুর পর মানসিকভাবে ভেঙে পড়ায় তিনি খালার বাসায় ছিলেন বলে জানা গেছে।

মঙ্গলবার (২৮ মার্চ) সকালে নওগাঁ শহরের জনকল্যাণ মহল্লার ভাড়া বাসায় আসেন সৈকত। পরে বেলা ১১টার দিকে আবার চলে যান। ওই বাসার মালিক দেলোয়ার হোসেন দুলাল বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

এর আগে শহরের খাস-নওগাঁ মহল্লায় সৈকতের নানার বাড়ি ও জনকল্যাণ মহল্লার ভাড়া বাসার কোথাও তার খোঁজ মিলছিল না।

সুলতানা জেসমিন নওগাঁর চন্ডিপুর ইউনিয়ন ভূমি অফিসে কর্মরত ছিলেন। তিনি শহরের জনকল্যাণ মহল্লার ভাড়া বাসায় বসবাস করতেন। এ বাসা থেকে নিয়মিত অফিসে যাতায়াত করতেন।

আরও পড়ুন: র‌্যাবের হাতে গ্রেফতার নারীর মৃত্যু

গত বুধবার (২২ মার্চ) সকালে অফিসে যাওয়ার পথে শহরের মুক্তির মোড় এলাকা থেকে তাকে আটক করে র‌্যাব। ওইদিন দুপুর ১২টার পর পরিবারের সদস্যরা জানতে পারেন সুলতানা নওগাঁ সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। তার অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালে নেওয়া হয়। পরে রামেকের নিবিড় পরিচর্চা ইউনিটে (আইসিইউ) চিকিৎসাধীন শুক্রবার সকালে তিনি মারা যান।

শনিবার রামেকে ময়নাতদন্ত শেষে বিকেলে নওগাঁ সরকারি কবরস্থানে মরদেহ দাফন করা হয়। এরপরই র‌্যাবের বিরুদ্ধে জেসমিনকে হেফাজতে নিয়ে নির্যাতন করে মেরে ফেলার অভিযোগ তোলেন স্বজনরা।

আরও পড়ুন: নওগাঁয় নারী মৃত্যুর ঘটনায় কেউ দোষী হলে বিভাগীয় ব্যবস্থা: র‌্যাব

ঘটনার পর থেকে নিহত সুলতানা জেসমিমের ছেলে সৈকত মানসিকভাবে ভেঙে পড়েন। ভাড়া বাসায় থাকলেও হঠাৎ করে নিখোঁজ হন তিনি। পরে খোঁজ নিয়ে জানা যায়, তার খালার বাসা শহরের খাস-নওগাঁ মহল্লায় আছেন। তার খালার বাসা এবং নানার বাসা একই এলাকায়। তবে এসব নিয়ে কেউ আর মুখ খুলতে চাচ্ছেন না।

জনকল্যাণ মহল্লার ভাড়া বাসার মালিক দেলোয়ার হোসেন দুলাল বলেন, মা মারা যাওয়ার পর থেকে সৈকত মানসিকভাবে ভেঙে পড়ে। এরপর তাকে একা বাসায় না রেখে তার খালার বাসা শহরের খাস-নওগাঁয় রাখা হয়েছিল। মঙ্গলবার সকালেও সে আমাদের বাসায় এসেছিল। এরপর আবার বেলা ১১টার দিকে তার খালার বাসায় চলে যায়।

আরও পড়ুন: র‌্যাব হেফাজতে নারীর মৃত্যু: বিচারবিভাগীয় তদন্ত চেয়ে রিট

নওগাঁ সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকতা (ওসি) ফয়সাল বিন আহসান বলেন, নিহতের পরিবারের পক্ষ থেকে এখন পর্যন্ত থানায় কোনো অভিযোগ করা হয়নি। এমনকি তারা কোনো ধরনের সমস্যায় পড়েছেন কি না সে বিষয়েও এখন পর্যন্ত থানায় জানানো হয়নি। তবে কোনো ধরনের আইনি সহযোগিতার প্রয়োজন হলে আমরা করবো।

আব্বাস আলী/এমআরআর/এএসএম

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।