রোগী নেই, চেম্বারে ডাক্তারও নেই

জেলা প্রতিনিধি
জেলা প্রতিনিধি জেলা প্রতিনিধি রাজশাহী
প্রকাশিত: ০৭:২৬ পিএম, ৩০ মার্চ ২০২৩

সরকারি হাসপাতালে বসে চিকিৎসকদের প্রাইভেট প্র্যাকটিস বা বৈকালিক চেম্বার কার্যক্রমের উদ্বোধন করেছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক। প্রাথমিকভাবে দেশের ১২টি জেলা সদর হাসপাতাল ও ৩৯টি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে এ সেবা চালু হলো।

বৃহস্পতিবার (৩০ মার্চ) বিকেল ৩টার দিকে রাজশাহীর পবা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সেও নির্দিষ্ট অর্থের বিনিময়ে প্রাইভেট প্র্যাকটিস শুরু হয়েছে। তবে প্রথম দিনে এক ঘণ্টায় কোনো রোগী দেখা যায়নি। এদিকে চিকিৎসকদেরও পাওয়া যায়নি। তবে কর্তৃপক্ষ বলছে, এ সময় চিকিৎসকরা অন্য কক্ষে ছিলেন।

বৃহস্পতিবার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন রাজশাহী-৩ আসনের সংসদ সদস্য আয়েন উদ্দিন। পবা উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. রাবেয়া বসরীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন রাজশাহীর সিভিল সার্জন ডা. আবু সাঈদ মোহাম্মদ ফারুক ও পবা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) লসমী চাকমা।

উদ্বোধনের পরই শুরু হয় রোগী দেখা। তবে শুরুতে প্রধান অতিথিরা বসে থাকলেও কোনো রোগী আসেননি। কিছুক্ষণ অপেক্ষার পর সংসদ সদস্য, ইউএনও ও সিভিল সার্জন হাসপাতাল ত্যাগ করেন। এরপরই চিকিৎসকদেরও নির্ধারিত কক্ষে পাওয়া যায়নি। চারটি কক্ষের কোনটিতেই চিকিৎসকের দেখা মেলেনি। তবে কিছুক্ষণ কথা বলার পর একজন অ্যানেস্থেসিয়া চিকিৎসক তার কক্ষে প্রবেশ করেন।

বৈকালিক চেম্বারে রোগীকে চিকিৎসা সেবা দেওয়া হচ্ছে

চিকিৎসকদের কক্ষের ঠিক পাশে সিরিয়ালের জন্য বসে আছেন দুই কর্মচারী। তাদের একজন বলেন, ‘প্রথমে একজন এসেছেন। তবে তার নাম লিখে রাখা হয়নি। এখন স্যাররা নেই। তারা ওই দিকে আছেন।’

এ বিষয়ে জানতে চাইলে পবা উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. রাবেয়া বসরী বলেন, আমাদের প্রস্তুতি নেই। আমরা খুব কম সময়ে এখানে কার্যক্রম শুরু করেছি। তবে চারজন কনসালটেন্ট ও ১০ জন মেডিকেল কর্মকর্তাকে ভাগ করে এই দায়িত্বে দেবো। আগামী শনিবার থেকে এটি ভালো ভাবে পরিচালিত হবে।

ডাক্তার না থাকার বিষয়ে তিনি বলেন, আমাদের চারজনের মধ্যে দুজন ডাক্তারের ডিউটি দেওয়া হয়েছে। গাইনি ও সার্জারি ডাক্তার আমার সমনে বসা। সংসদ সদস্য চলে যাওয়ার পর ডাক্তাররা নামাজ পড়তে ওপরের তৃতীয় তলায় যান। আপনাকে তো অপেক্ষা করতে হবে। আমাদের ডাক্তার অনেক কষ্ট করে। আপনার শুরুতেই এমন কথা বললে মন ভেঙে যাবে।

বৈকালিক চেম্বারে রোগীকে চিকিৎসা সেবা দেওয়া হচ্ছে

রাবেয়া বসরী বলেন, সব কক্ষে ডাক্তাররা থাকবে বিষয়টি এমন না। আমাদের দুজন ডাক্তার ও একজন ডিউটি ডাক্তার থাকবে। আপনাদের রিপোর্ট দেওয়ার আগে আর একটু যাচাই করা দরকার। আমরা রমজান মাসে সারাদিন অনেক কষ্ট করে রোগী দেখছি আর আপনি তীরে এসে তরী ডুবিয়ে দিলেন।

এ বিষয়ে রাজশাহীর সিভিল সার্জন ডা. আবু সাঈদ মোহাম্মদ ফারুক বলেন, আমার বিষয়টি জানা নেই। এটি রাবেয়া বসরীকে বলেন।

এর কিছু সময় পর তিনি ফোন করে বলেন, ডাক্তাররা আছেন। তারা টিএইচও-এর রুমে আছেন। সেখানে তাদের আজ ইফতারি করার কথা। আমারও থাকার কথা ছিল। খোঁজ নেন, তারা সেখানে আছে।

সাখাওয়াত হোসেন/এসজে/জেআইএম

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।