রেলে বিনা টিকিটের যাত্রীদের ভাড়া যাচ্ছে টিটিইর পকেটে!

ফরিদপুরে বিনা টিকিটে রেলে ভ্রমণকারী যাত্রীদের কাছ থেকে টাকা আদায়ের পর দেওয়া হচ্ছে না কোনো রশিদ। ফলে ওই টাকা যাচ্ছে ট্রেন টিকিটি এক্সামিনারের (টিটিই) পকেটে। বৃহস্পতিবার (৩০ মার্চ) সকালে রাজবাড়ী-ফরিদপুর রুটে চলাচলরত রাজবাড়ী এক্সপ্রেস ট্রেনের যাত্রী এক স্কুলশিক্ষক এমনই অভিযোগ করেন।
নগরকান্দার চাঁদহাট বাজার উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক দেলোয়ার হোসেন অভিযোগ করে জাগো নিউজকে বলেন, বৃহস্পতিবার সকালে তিনি তালমার নাজিমুদ্দিন উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আসাদুজ্জামান চৌধুরীকে সঙ্গে নিয়ে সকাল ৮টা ৪০ মিনিটের ট্রেনে উঠে তালমা স্টেশন থেকে ফরিদপুরের উদ্দেশে যাত্রা করেন।
তিনি বলেন, ট্রেন ছাড়ার পর টিটিই এসে টিকিট চেক করার সময় দেখা গেলো অনেক যাত্রীরই টিকিট নেই। তবে টিটিই তাদের কাছ থেকে ভাড়ার টাকা আদায় করলেও কোনো টিকিট বা রশিদ দেননি। তিনি প্রশ্ন রেখে বলেন, এই টাকা কি আদৌ জমা হবে কোষাগারে? অথচ টাকা দেওয়া যাত্রীরাও কিছু বললেন না।
এ ব্যাপারে তালমা রেল স্টেশনের টিকিট মাস্টার বলেন, টিটিইর কাছে বিপিডি বই থাকে। ওই বইতে তিনি ৯০ টাকার নিচে টিকিট লিখতে পারবেন না। তবে অনেক সময় ভাড়ার টাকা কম হলে চার-পাঁচজনের টাকা এক টিকিটে লিখতে পারেন।
তিনি আরও বলেন, ট্রেনের মধ্যে টিকিট নিয়ে যারা উঠেছে তাদের দায়িত্ব আমার, আর টিকিট ছাড়া যারা উঠেছে তার দায়ভার টিটিই’র।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, জরিমানাসহ রেলের ভাড়া বেশি দিতে হয় বলে বিনা টিকিটের যাত্রীরা টিটিইর কাছে ধরা পড়ে শুধু ভাড়ার টাকা দিয়েই পার পেতে চান। তারা জরিমানা দিতে চান না। এজন্য রশিদ নেওয়াই বরং তাদের জন্য বিপদের কারণ। আর অসাধু টিটিইরা যাত্রীদের এই টাকা রেলে জমা না দিয়ে পকেটস্থ করার সুযোগ পেয়ে যান।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে ফরিদপুর রেল স্টেশন মাস্টার তাকদির হোসেন বলেন, টিটিই যদি যাত্রীদের কাছ থেকে কোনো টাকা আদায় করেন তাহলে অবশ্যই রশিদ বা ডকুমেন্ট দেবেন। আর যদি তা না দেন তাহলে যাত্রীদের অভিযোগ পেলে সে ব্যাপারে ব্যবস্থা নেওয়া হয়।
এন কে বি নয়ন/এফএ/এএসএম