চেয়ারম্যান-সচিবের বিরুদ্ধে ১০ ইউপি সদস্যের অভিযোগ

জেলা প্রতিনিধি
জেলা প্রতিনিধি জেলা প্রতিনিধি গাইবান্ধা
প্রকাশিত: ০৫:১৪ পিএম, ১৭ এপ্রিল ২০২৩
অভিযুক্ত চেয়ারম্যান ইসলাম মুকুল ও সচিব মিজানুর রহমান

গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জ উপজেলার শ্রীপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. ইসলাম মুকুল ও সচিব মো. মিজানুর রহমানের বিরুদ্ধে অনিয়ম-দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে।

এ নিয়ে রোববার গাইবান্ধা জেলা প্রশাসক ও স্থানীয় সরকার বিভাগে লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন ওই ইউনিয়ন পরিষদের ১০ সদস্য।

অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, উপজেলার শ্রীপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. আজহারুল ইসলাম মুকুল ও সচিব মো. মিজানুর রহমান দীর্ঘদিন থেকে যোগসাজশে ব্যাপক অনিয়ম ও দুর্নীতি করে আসছেন। এনজিও কর্তৃক শুধুমাত্র চারটি কমিটি গঠন হয়েছে। আরও ৯টি কমিটি গঠন করা হয়নি। ফলে জনগণের কাছ থেকে আদায় করা ট্যাক্স, ট্রেড লাইসেন্সের টাকার হিসাব না করে চেয়ারম্যান ও সচিব আত্মসাৎ করেন। যা এখন পর্যন্ত কোনো রেজুলেশনের মাধ্যমে সদস্যদের জানানো হয়নি।

এছাড়াও ২০২২-২৩ অর্থবছরের মাতৃকালীন ভাতা ইউপি সদস্যদের না জানিয়ে রেজুলেশন ছাড়া ইউপি চেয়ারম্যান ও সচিব নিজের ইচ্ছায় সংশ্লিষ্ট অফিসে জমা দিয়েছেন। একই অর্থবছরের উন্নয়ন সহায়তা তহবিল ওয়ার্ড সভা এবং সদস্যদের রেজুলেশন ছাড়া প্রকল্প জমা দিয়েছেন।

অভিযোগে আরও বলা হয়, চলতি বছরের ৯ মার্চ ইউনিয়ন উন্নয়ন সহায়তা তহবিলের ৬ লাখ ২১ হাজার ২০০ টাকা বরাদ্দ কম্পিউটার থেকে ডাউনলোড করে সচিব মিজানুর রহমান প্যানেল চেয়ারম্যান মামুনুর রশিদকে স্বাক্ষর করতে বলেন। প্যানেল চেয়ারম্যান মামুনুর রশিদ ইউপির অন্য সদস্যদের সঙ্গে আলোচনা না করে স্বাক্ষর করতে অপারগতা জানান। তখন ইউপি সচিব মিজানুর রহমান চেয়ারম্যানের নিজস্ব ব্যক্তি অহেদুল ইসলাম সাদের কাছ থেকে চেয়ারম্যানের জাল সাক্ষর নিয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কার্যালয়ে জমা দেন। ওই সময় ইউপি চেয়ারম্যান আজহারুল ইসলাম ওমরাহ পালনের জন্য সৌদি আরবে অবস্থান করেন।

এছাড়া ইউনিয়ন পরিষদের ডিজিটাল সেন্টারের উদ্যোক্তাকে বাদ দিয়ে নতুন করে চেয়ারম্যান তার নিজস্ব লোককে নিয়োগ দেন। অবৈধভাবে নিয়োগ পাওয়া নতুন উদ্যোক্তা আতিকুর রহমান হরহামেশায় বিভিন্ন ব্যক্তির স্বাক্ষর জাল জালিয়াতি করে আসছেন।

শ্রীপুর ইউনিয়নের পরিষদের প্যানেল চেয়ারম্যান মো. মামুনুর রশিদ বলেন, ‘কোনো বিষয়ে ইউপি চেয়ারম্যান আজহারুল ইসলাম ও সচিব মিজানুর রহমান পরিষদের সদস্যদের না জানিয়ে নিজেদের ইচ্ছামতো সিদ্ধান্ত নিয়ে কাজ করে আসছেন। তারা মনগড়া সিদ্ধান্ত নিয়ে সেই অর্থ আত্মসাৎ করছেন। তাদের নানাবিধ অনিয়ম-দুর্নীতির প্রতিকার চেয়ে ১০ জন ইউপি সদস্য জেলা প্রশাসকসহ বিভিন্ন দপ্তরে অভিযোগ করেছি।’

অভিযোগের বিষয়ে শ্রীপুর ইউনিয়ন পরিষদের সচিব মো. মিজানুর রহমান জাগো নিউজকে বলেন, এসব মিথ্যা অভিযোগ। নিয়ম অনুযায়ী পরিষদের সব কিছু ঠিকঠাক চালানো হচ্ছে।

এ বিষয়ে শ্রীপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. আজহারুল ইসলাম মুকুল বলেন, আমার বিরুদ্ধে শুধু জেলা প্রশাসক নয়, প্রধানমন্ত্রী বরাবর অভিযোগ দিলেও তা তদন্ত করলে মিথ্যা প্রমাণিত হবে।

গাইবান্ধা স্থানীয় সরকার বিভাগের উপ পরিচালক মো. শরিফুল ইসলাম জাগো নিউজকে বলেন, শ্রীপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও সচিবের বিভিন্ন অনিয়ম-দুর্নীতির বিষয়ে ১০ জন সদস্যের স্বাক্ষরিত একটি অভিযোগ পেয়েছি৷ এ ঘটনার তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

এসজে/এমএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, ধর্ম, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।